বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতে টিকাকরণ শুরু হয়েছে ২০২১-র ১৬ জানুয়ারি থেকে। আর এক সপ্তাহ পরেই দেশে টিকাকরণের এক বচহর পূরণ হতে চলেছে। ইতিমধ্যে ১৫০ কোটির উপরে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে ভারতীদের। তবে এখনও সম্পূর্ণ টিকাকরণ সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, নতুন বছরের শুরু থেকেই ভারতে ১৫ থেকে ১৮ বছরের বাচ্চাদের টিকাকরন অভিযান শুরু হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত ১ কোটির উপরে বাচ্চাদের করোনার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ মাস থেকেই করোনা যোদ্ধা যেমন স্বাস্থ্যকর্মী, ভলেন্টিয়ার্স, নার্স, ডাক্তার, সাফাই কর্মী, পুলিশকর্মী সহ যারা যারা করোনার যুদ্ধে সামিল হয়েছিলেন, তাঁদের তাঁদের করোনার তৃতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে।
করোনার টিকা নিয়ে চারিদিকে অনেক হই-হুল্লোড় হয়েছে। কোথাও করোনার টিকা না পাওয়া নিয়ে অশান্তি, আবার কোথাও করোনার ভুয়ো টিকা দেওয়া নিয়ে তোলপাড়। গত এক বছরে সমস্ত কিছুই দেখেছে গোটা দেশ। তবে করোনার টিকা নিয়ে রাজনৈতিকীকরণও কম হয়নি। সবথেকে বেশি আপত্তি উঠেছিল করোনার টিকার সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি থাকা নিয়ে।
দেশের প্রতিটি বিরোধী দলই করোনার শংসাপত্র থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরানোর দাবি তুলেছিল। এমনকি এই নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছিল। কেরলের এক ব্যক্তি এই নিয়ে আদালতে মামলা করলে বিচারকরা মামলা খারিজ করে ওই ব্যক্তিকে ১ লক্ষ টাকার জরিমানাও করেন। তবে, এবার করোনার টিকার শংসাপত্র থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরছে।
শনিবার দেশের পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশন। আর সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, মণিপুর আর গোয়ায় আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়েছে। আর এই আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ার কারণেই এই পাঁচ রাজ্যের করোনার টিকার শংসাপত্র থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন দ্বারা পাঁচ রাজ্যের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার পরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ওই পাঁচ রাজ্যের টিকার সার্টিফিকেট থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। টিকার শংসাপত্র যেন ভোটে প্রভাব না ফেলতে পারে, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, বাকি রাজ্যগুলোতে এখন টিকার সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেখা যাবে।