বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর থেকে কোন সার্বজনীন অনুষ্ঠানে কখনই ফোন কথা বলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra modi)। মোবাইলের মাধ্যমে নতুন অ্যাপ্লিকেশন চালু করা হোক কিংবা কারো সঙ্গে সেলফি তোলা ছাড়া, প্রধানমন্ত্রীকে কখনই জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে ফোনে কথা বলতে দেখা যায়নি।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদী বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথের পুজো করার পর গঙ্গার ঘাটে দেব দিওয়ালি উদযাপন করেছিলেন। এই সময়ই সন্ত রবিদাস ঘাট থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ১১ মিনিটের মধ্যে ১ বার নয় ৩ বার সকলের সামনে ফোনে কথা বলতে দেখা যায়। ফোনে কি বলছিলেন মোদীজি? আর কার সঙ্গেই বা কথা বলছিলেন? এই নিয়ে কৌতূহল শুরু হয়েছে সব মহলেই।
প্রথম ফোন কল হয় মাত্র ১০ সেকেন্ডের জন্য
প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ফোন কল আসে, যখন তিনি সন্ত রবিদাস ঘাটের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছিলেন। সেই সময় তাঁর একজন দেহরক্ষী এসে তাঁকে ফোনটা দিলে তিনি বাম হাত দিয়ে ফোনটা ধরেন। রবিদাস ঘাটের সিঁড়িতেই দাঁড়িয়ে যান ১০ সেকেন্ডের জন্য। কথা বলে নিয়ে আবারও সিঁড়ি দিয়ে উপড়ে উঠতে থাকেন।
দ্বিতীয় ফোনে কথা হয় প্রায় ২৪ সেকেন্ড ধরে
প্রথম ফোন আসার মাত্র ৪৪ সেকেন্ড পরই দ্বিতীয় ফোনটি আসে। এইবার প্রধানমন্ত্রীর দেহরক্ষী ফোনে কথা বলতে বলতে প্রধানমন্ত্রীর দিকে এগিয়ে আসেন, এবং প্রধানমন্ত্রী ডান হাত বাড়িয়ে ফোনটি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। এইসময় প্রায় ২৪ সেকেন্ড ফোনে কথা বলেন তিনি। ফোন আসার পর তাঁকে দেখে মনে হয়েছিল, তিনি হয়ত আগে থাকতেই জানতেন যে আরও একবার ফোন আসতে পারে।
তৃতীয় ফোন কল চলে দীর্ঘ সময় ধরে
দ্বিতীয় বার ফোনে কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত রবিদাস পার্কে পৌঁছে সন্ত রবিদাসের মূর্তিটি মালা পরিয়ে প্রণাম জানান। এরপর সেই পার্ক থেকে যখন তিনি চলে যাচ্ছিলেন, তখন আসে তাঁর তৃতীয় ফোন কল। অর্থাৎ দ্বিতীয় ফোনের ৭ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর আসে তৃতীয় কল।
এইসময় প্রধানমন্ত্রীর দেহরক্ষী এসে তাঁকে ফোনে কথা বলার জন্য একটু দূরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। তখন তিনি ফোন নিয়ে কিছুটা দূরে চলে যান। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কিছুটা আলাদা হয়ে যান তাদের থেকে। এই ফোন কলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। কারণ, এই বার প্রধানমন্ত্রী ২ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে কথা বলেছিলেন।