Bangla Hunt Desk: আজ ১৭ ই সেপ্টেম্বর। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) আজ ৭০ তম জন্মদিন। দেশের এই মহান নেতা পরপর দুবার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে নিজের ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। দেশের উন্নতিতে নানা সময় নানান ধরনের চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্ত নিতে কখনই পিছপা হননি তিনি। বিরোধীদের শত বিরধতা সত্ত্বেও নিজের সিদ্ধান্তে রয়ে গেছেন অটল।
আন্তর্জাতিক স্তরে বন্ধু দেশ কিংবা প্রতিবেশি শ্ত্রু দেশ, যে যেমন আচরণ করে, তাঁকে ঠিক তার পাল্টাটা দিতে সর্বদা প্রস্তুত মোদী সরকার। তবে দেশ সেবায় নিজেকে উতসর্গ করা এই মানুষটি একজন প্রকৃত লেখক, এই বিষয়ে অনেকেই অবগত নন। জীবনের বিভিন্ন সময়ে তিনি বিভিন্ন বই লিখেছেন। তবে সবথেকে উল্লেখ যোগ্য হল তাঁর ডায়েরি, এই ডায়েরির মাধ্যমেই মোদী জির জীবন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যায়।
আজকে আমরা ফিরে যাব কৈশোরের মোদী জির বয়সে। যে সময়ে তিনি প্রতিদিন ডায়েরি লিখতেন। প্রতিদিন ডায়েরি লিখলেও, ৬ থেকে ৮ মাস পর তিনি কিন্তু সেই ডায়েরির পাতা পুড়িয়ে দিতেন। কিন্তু একদিন মোদী জির এই কাজ তাঁর প্রচারবাদী বন্ধু নরেন্দ্র ভাই পঞ্চসারা দেখে নেন। তখন তিনি তাঁকে এই ডায়েরির পাতা না পোড়ানোর পরামর্শ দিলেন।
‘সাক্ষীভাব’
পরবর্তীতে সেই ডায়েরিই একটি বইয়ের রূপ নেয়। সেই বইয়ে ৩৬ বছর বয়সী মোদী জির চিন্তা ভাবনা উল্লেখ করা আছে। মোদী জির সেই বইয়ের নাম ‘সাক্ষীভাব’। মোদী জির কথায়, ‘যখন আমার বয়স ৩৬ বছর, সেই সময়কার জগদ্ধ জননীর মায়ের সাথে আমার কথোপকথন কবিতার ভাষায় এই বইতে লেখা আছে’।
কবিতার প্রতি মোদী জির এক বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। তাঁর কথায়, মনের যে ভাব গদ্যে প্রকাশ করা যায় না, তা কবিতার মাধ্যমে ব্যক্ত করা অনেক সহজ। ‘সাক্ষীভাবা’ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা বেশ কয়েকটি বই সম্বন্ধে আলোচনা করা হল।
জ্যোতিপুঞ্জ – আরএসএস জীবনের আবেগের কথা এই বইটিতে মোদী জি তুলে ধরেছেন।
সামাজিক সম্প্রীতি – এই বইতে মোদী জির শৈশব জীবনের চিন্তাভাবনা থেকে শুরু করে আজকের দিনের ভাবনা ব্যক্ত করা আছে।
Exam Warriors – গত বছই প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে। এই বইটি তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য লিখেছেন। এই বইয়ে পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি পদ্ধতি থেকে শুরু করে পরীক্ষার সময়কার নার্ভাস নেস এবং স্ট্রেস কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে ব্যক্ত করেছেন।