বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আর লকডাউনের (Lockdown) পরিস্থিতি নিয়ে তৃতীয়বার সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করতে চলেছেন। এই বৈঠক ২৭ এপ্রিল সকালে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে হবে। এই বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Prime Minister Narendra Modi will interact with CMs of all States via video conference on 27th April pic.twitter.com/k57HGUtosA
— ANI (@ANI) April 22, 2020
কেন্দ্র সরকার রাজ্যের থেকে পাওয়া ফিডব্যাক অনুযায়ী আগামী রণনীতি তৈরি করবে। ১৪ই এপ্রিল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর কেন্দ্র সরকার ৩রা মে পর্যন্ত গোটা দেশে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ই এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বেশীরভাগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে প্রথম বৈঠক ২রা এপ্রিল হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন। সেই সময় করোনা ভাইরাসের সঙ্কট, লকডাউন আর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছিল। এই নিয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা ভাইরাস আর লকডাউন নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে কথা বলবেন।
আপনাদের জানিয়ে দিই, করোনা ভাইরাসের মামলা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতে। এখনো পর্যন্ত দেশে করোনার মোট ২০ হাজার ৪৭১ জন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। আর ৬৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা মহামারী বিপদের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অ্যাকশন মুডে আছেন। তিনি নিজের মন্ত্রী আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করেন আর সমস্ত রকম তথ্য জানেন।
আরেকদিকে, স্বাস্থকর্মীদের উপর হওয়া হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বুধবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে একটি অর্ডিন্যান্স পাশ করা হয়। এরপর এখন থেকে স্বাস্থকর্মীদের উপর হামলা করা মানুষদের বিরুদ্ধে কড়া অ্যাকশন নেওয়া হবে। এই অর্ডিন্যান্সে তিন মাস থেকে সাত বছরের সাজার নিয়ম আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইট করে লেখে, স্বাস্থকরমীদের সুরক্ষার সাথে কোন সমঝোতা হবেনা। মহামারী আইনে বদল আনা হয়েছে। নতুন আইন স্বাস্থকর্মীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করবে।