বাংলাহান্ট ডেস্ক : বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা “কিন্তু কিন্তু” ভাব লক্ষ্য করা গেছে। নিয়ম করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং, সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ইত্যাদি বিষয়গুলি চিন্তা বাড়িয়ে ছিল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনে। অনেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন তাহলে কি শ্রীলংকার পথ ধরে দেউলিয়া হতে চলেছে বাংলাদেশ?
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্র যে খুব একটা ভালো জায়গায় রয়েছে তা কিন্তু নয়। বাংলাদেশের উপর রয়েছে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক ঋণের বোঝা। এছাড়াও প্রতিনিয়ত কমছে বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল। এমন অবস্থায় যে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা হলেও প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে তা অনেকেই মনে করছেন।
এবার বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আশঙ্কার কথা নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে তার মন্তব্য যে আগামী বছর হয়তো দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে করা হাসিনার এই মন্তব্য আলোড়ন ফেলে দিয়েছে চারদিকে।
শেখ হাসিনার বক্তব্য, “দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পরের বছর। সবাই নিজের মতো করে উৎপাদনে মন দিন। এক ইঞ্চি জমিও যেন ফাঁকা না পড়ে থাকে। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সব রকম সাহায্য করব আপনাদের।” এরই সাথে হাসিনা যোগ করেন, “করোনা মহামারীর সময় বাংলাদেশ বড় রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। দাম বেড়েছিল প্রত্যেকটি জিনিস পত্রের। তা সত্ত্বেও আমাদের সরকার বাংলাদেশের কৃষকদের ভর্তুকি বন্ধ করেনি।”
ওয়াকিবহাল মহলের মত, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর শেষকৃত্যে যোগদান করতে গিয়ে তিনি অনেকের কাছে এই দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা শোনেন। শেখ হাসিনাকে অনেকে এই বিষয়টি নিয়ে সতর্কও করেছেন। অনেকে মনে করছেন দেশের অর্থনীতি ও কৃষি ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসিনার এই মন্তব্য।