বন্ধের মুখে ঐতিহ্যবাহী শতাব্দী প্রাচীন ছাপাখানা

রাজীব মুখার্জী, হাওড়া

 

সালটা ১৮৫৫। ব্রিটিশ ভারতে ইষ্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিল হাওড়া রেলওয়ে প্রিন্টিং প্রেস। এইটি কার্যত এশিয়ার বৃহত্তম ছাপাখানা। এরপর কার্যত সর্বোচ্চ সুনামের সঙ্গেই ৫ এর অধিক রেল কে পরিষেবা দিয়ে এসেছে এই প্রেস। বর্তমান সময়েও যে এর কার্যকারিতা কমে গেছে তা কোনোভাবেই বলা যায় না। কারন আজও প্রতিদিন প্রায় ২৭ লক্ষ টিকিট সরবরাহ করা হয় হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এই পূর্ব রেলের প্রেস থেকেই। এছাড়াও শুধু ইস্টার্ন রেল নয়, নর্দান ইস্টার্ন রেলওয়ে, নর্দান ফ্রন্টাল রেলওয়ে, সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে ও নর্দান রেলওয়ে কেও টিকিট সহ যাবতীয় প্রিন্টেড আর্টিকল ছেপে সরবরাহ করে। তাই এইরকম একটি চালু ছাপাখানাকে কেন বন্ধ করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কর্মীরা।

 

১৬৪ বছরের এই ছাপাখানা হঠাৎ বন্ধ করার নোটিশ জারি করা হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে।
এরপরেই প্রতিবাদে নামে এখানকার কর্মচারী সংগঠনগুলো।আজ সকাল থেকেই শুরু হয় অবস্থান।প্রসঙ্গত বেশ কিছু মাস আগেই প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে স্পেন থেকে আনা হয়েছে রোটোম্যাক মেশিন। সাথে চলছে বিল্ডিং রেনভেশনের কাজও। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন পূর্ব রেলের মেন্স কংগ্রেসের পূর্ব জোনের সভাপতি বিনোদ শর্মা জানান, বেসরকারিকরণ করার উদ্দেশ্যেই বন্ধ করা হচ্ছে পূর্ব রেলের এই ছাপাখানা। বর্তমান কর্মীদের অন্য জায়গায় স্থানাটোরিত করে এই ছাপাখানা কেন্দ্রীয় সরকার তুলে দিতে চাইছে বেসরকারি উদ্দোগপতিদের হাতে। রেলের জমিতে মুনাফা করবে সেইসব সংস্থা।

IMG 20190719 233937 1

আমরা বারবার রেলের সাথে কথা বলতে চাইলেও তারা এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে চায়নি। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এই ছাপাখানায় কার্ড টিকিট, পিআরএস, ইউ টি এস, ১৫০ রকমের বেশি মানি ভ্যালু ছাড়াও প্রায় ৭০০ রকমের ফর্ম সরবরাহ করা হয় পূর্ব রেল সহ আরো চার ভারতীয় রেল কে। এই ধরণের একটি চালু ছাপাখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এখন উঠছে প্রশ্ন।

সম্পর্কিত খবর