বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য জুড়ে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Exam)। পরীক্ষায় বসেছে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী। অন্যদিকে, উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই বিভ্রান্তি। পরীক্ষার সময় যাতে কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয়, সেই লক্ষ্যে কড়াকড়ি ব্যবস্থা শিক্ষা সংসদের। কিন্তু এদিন প্রথম ভাষার পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেই দেখা দিল গন্ডগোল। ছাপার ভুলে আইসিএসের বদলে নেতাজি (Netaji) হয়ে গেলেন আইএএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। আর তাতেই শোরগোল।
আসলে ব্রিটিশ আমলে আইসিএস উত্তীর্ণ হয়েছিলেন নেতাজি। পাশাপাশি, আইসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াকে উচ্চশিক্ষা বলা যায় কি না, সেই নিয়েও বিতর্ক। মঙ্গলবার প্রশ্নপত্রের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে শেষে মুখ খুলেছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যও। একপ্রকার ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
শিক্ষা সংসদের সভাপতি জানান, “বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্রে নেতাজি নিয়ে একটি প্রশ্নে মুদ্রণের ভুল হয়েছে। ছাপার জন্য প্রশ্নপত্র পাঠানোর সময় তাতে ‘আইসিএস’ লেখা ছিল। ছাপার সময় তা ভুলবশত আইএএস’ হয়ে গিয়েছে। এটা একেবারেই ছাপার ভুল।” সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, এই ভুল অনিচ্ছাকৃত। যা ‘প্রিন্টিং মিস্টেক’ বা ছাপার ভুল বলেই দাবি সংসদের।
পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশেও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন চিরঞ্জীববাবু। সভাপতি বলেন, “প্রশ্নের মধ্যে নেতাজি নিয়ে প্রবন্ধে ভুলবশত আইসিএসের বদলে আইএএস লেখা আছে। পরীক্ষার্থীরা যদি সেই প্রবন্ধ লেখার সময় ‘আইএএস’-ই লেখেন, তবে তাদের ভুল ধরা হবে না বা নম্বরও কাটা যাবে না। তাদের লেখার মান বিচার করেই নম্বর দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ। পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৯। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বারংবার রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন ওঠায় মাধ্যমিকের পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতেও কড়াকড়ি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসকল স্কুলে সিসিটিভি আছে, সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এই প্রথমবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আরএফডি বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরের ব্যবহার করা হচ্ছে।