গোটা বিশ্বে প্রতিনিয়ত কত কিছুই ঘটে চলেছে। তবে তার সবটাই কখনও রেকর্ড সৃষ্টিকারী হয়না। তখনই হয়, যখন কেউ অভিনব, অনন্য বা আশ্চর্যজনক কিছু তৈরি করে। যা দেখে গোটা বিশ্ব হতবাক হবে, সেটাই হবে বিশ্ব রেকর্ডধারী। এবার ঠিক এমনই এক অবাক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন গুজরাটের আমেদাবাদের বাসিন্দা ভানুভাই প্যাটেল। তিনি জেলে বসেই হাসিল করে নিলেন ৩১ টি ডিগ্রী। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ বিশ্ববাসীর।
গুজরাটের বাসিন্দা ভানু ভাই পেশায় একজন ডাক্তার। ৫০ বছর বয়সে তিনি জেলে যান। সেখানে থেকে গত দশ বছরে তিনি ৩১ টি ডিগ্রী অর্জন করেন। আর জেল থেকে খলাস হতেই সরকারি চাকরি পেয়ে যান ভানুভাই। জেলের অন্ধকার জীবনেও তিনি বাস্তব জীবনে আর বাকি পাঁচ জনের মত স্বাভাবিক জীবনযাপন করার লক্ষে আশার আলো দেখেছেন। আর যে কারনেই তার এই অভূতপূর্ব কাণ্ড তাকে জায়গা করে দিয়েছে বিশ্ব রেকর্ডের পাতায়।
ভানুভাইয়ের নাম ইতিমধ্যেই ‘এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস (Asia Book of Records)’ ‘ইউনিক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (Unique World Records)’ ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডস (Limca Book of Records)’এবং ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড (India Book of Records)-এ জায়গা করে নিয়েছে।
এখন আপনাদের মনে একটি প্রশ্ন দানা বাঁধতে পারে, পেশায় একজন ডাক্তারবাবু কীভাবে জেলে গেলেন ? বলে রাখি, ৫০ বছর বয়সে ভানু ভাই ডাক্তারি করতেন। তাখন তার এক বন্ধু বিদেশে ব্যবসা করত। সেই ব্যবসার টাকা সে রাখত ভানু ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে। আর সেটাই হল ভানু ভাইয়ের কাছে কাল। ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি জেলে ছিলেন, সেখানে ৩১ টি ডিগ্রী অর্জন করার পাশাপাশি একাধিক ভাষায় বইও লিখেছেন তিনি। তার একটি বইয়ের নাম ‘Behind Bars & Beyond’। জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ছাড়া পেয়ে তিনি যে সাধারণ জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার এখন বাস্তবরূপ দিয়েছেন তিনি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও তিনি ২৩ টি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। সবমিলিয়ে তার এখন অর্জিত ডিগ্রীর সংখ্যা হল ৫৪। আর তাই তো তিনি আজ রেকর্ডধারী।