বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: গত মরশুমে কোনও ট্রফি ছোঁয়া হয়নি। তাই সবুজ মেরুন জার্সিতে ট্রফি জেতার স্বপ্ন নিয়ে আরও তিনবছরের জন্য এটিকে মোহনবাগানেই থেকে যাচ্ছেন ভারতের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল। মোট ৫ কোটি টাকায় তার সঙ্গে আসন্ন তিন বছরের জন্য চুক্তি করলো সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল। ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়েও প্রীতম এখন নিজের পজিশনে প্রথম পছন্দ। সাইড ব্যাকের পাশাপাশি সেন্টার ব্যাক পজিশনেও সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন প্রীতম। খুব সম্ভবত কেরিয়ারের সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তাই তার পেছনে বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে দুবার ভাবেনি এটিকে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট।
পেশায় রিক্সা চালক বাবার ছেলে প্রীতমের ভারতীয় ফুটবলের বড় মঞ্চে ওঠে আসার পথটা খুব একটা সোজা ছিল না। উত্তরপাড়া মাখলার ছেলে প্রীতম নেতাজি ব্রিগেড ক্লাব থেকে ফুটবল খেলা শুরু করেছিলেন। ছোটবেলায় কোনোদিনও আর্থিক স্বচ্ছলতার মুখ না দেখা প্রীতম আজ যে টাকার অফার পাচ্ছেন, ভারতীয় ফুটবলে সুনীল ছেত্রী বা সন্দেশ ঝিঙ্গান ছাড়া কেউই এত টাকার অফার পান না। সূত্রমারফত জানা গিয়েছে যে সবুজ মেরুণ শিবির ছাড়াও প্রীতমের কাছে আরও বড় অংকের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। কিন্তু মোহনবাগানের প্রতি আবেগের কারণে ক্লাব ছাড়তে রাজি হননি প্রীতম।
প্রীতম যে সবুজ মেরুণ শিবিরের প্রতি আগ্রহী তা ভালোই জানেন ফুটবলপ্রেমীরা। ডার্বি জয়ের পর টিম হোটেলে বা টিম বাসে সবচেয়ে বেশি উজ্জীবিত থাকেন তিনিই। এর আগে যখন এটিকে এবং মোহনবাগান পৃথক ছিল তখনও দুই ক্লাবে খেলেছেন। ফলে সকলের সাথে তার ভালো সম্পর্ক। আর কোচ জুয়ান ফার্নান্দোও আগামী মরশুমে প্রীতমের ভূমিকা সম্পর্কে আশাবাদী। তবে আপাতত সেই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ প্রীতম। আপাতত তার লক্ষ্য এএফসি কাপে ভালো খেলা।
গত আইএসএল মরশুমে ২০ টা ম্যাচ খেলেছিলেন প্রীতম। ১ টি গোল ও ২ টি এসিস্ট করার পাশাপাশি তিনি ৮ টি কি পাস বাড়িয়েছিলেন এবং ১০ টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। সেইসঙ্গে ৫৮ টি ক্লিয়ারেন্স এবং ৪৩ টি ইন্টারসেপশনও করেছিলেন তিনি।