বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তারপরেই ‘একুশে জুলাই’ উপলক্ষ্যে কলকাতার (Kolkata) ধর্মতলা চত্বরে লাখ লাখ লোকের সমাগম হতে চলেছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress)। বিগত দুবছর ধরে ‘ভার্চুয়াল’ মাধ্যমে হওয়ার পর এ বছর বিপুল জনসমাগম মাঝে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘শহীদ দিবস’।
স্বাভাবিকভাবেই একাধিক রাস্তাঘাট যানজটে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই কারণে আগামী একুশে জুলাই একাধিক বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে। পড়ুয়াদের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মত স্কুল কর্তৃপক্ষের। এক্ষেত্রে কোথাও সম্পূর্ণরূপে স্কুল বন্ধ থাকবে, তো অপরদিকে আবার কয়েকটি বিদ্যালয় অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস নেবে বলে খবর সামনে আসছে।
উল্লেখ্য, বিগত দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় শহীদ দিবস। তবে এ বছর করোনার প্রকোপ কিছুটা কমায় অসংখ্য মানুষ মাঝেই বক্তৃতা দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা। এমনকি, এ বছর উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল থেকে বহু মানুষের আগমন ঘটতে চলেছে বলে দাবি শাসকদলের। ফলে এই পরিস্থিতিতে যানজটের আশঙ্কা করে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল দ্বারা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ওয়েলিংটনের এক বেসরকারি স্কুল জানিয়েছে, “বৃহস্পতিবার একুশে জুলাই উপলক্ষ্যে সমাবেশ হতে চলেছে। এই কারণে যাতায়াতে অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে। তাই পড়ুয়াদের কথা ভেবে আমরা আগামী বৃহস্পতিবারের ক্লাস শনিবারে নেব।” একই সঙ্গে আরো বেশ কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পার্ক সার্কাসের একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ অনলাইনে ক্লাস নেবে বলে জানা গিয়েছে। আবার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় দ্বারা ছাত্র-ছাত্রীদের ওপরেই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, একুশে জুলাই ‘শহীদ দিবস’ অনুষ্ঠানে কলকাতার একাধিক রাস্তাঘাটে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে অসংখ্য মানুষ রাস্তায় রাস্তায় ভিড় জমাবেন। সেই কারণে ভোর চারটে থেকে রাত ন’টা অব্দি কলকাতার সকল প্রান্তে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হতে চলেছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।