বাংলা হান্ট ডেস্ক : কথাতেই আছে কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। তাই নিতান্ত দারিদ্র্যতার সঙ্গে লড়াই করে আজ দেশের সেরা, বিশ্বসেরা হয়েছেন এমন নজির কিন্তু কম নেই। তেমনই এবার আপিএল-এর খেলোয়ারের তালিকায়। প্রতিদিন মাত্র দশ টাকা পেতেই অনেক কষ্ট করতে হত বাবাকে। তখন সেই দশ টাকা বাবাকে জোগাড় করতে গিয়ে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হত। অথচ ছেলে সেই দশ টাকা দিয়েই কিন্তু আজ একজন ভালো ক্রিকেটার হয়েছে প্রিয়ম। তাই তো দীর্ঘদিন অভাবের সঙ্গে লড়াই করেও খেলা ছাড়েনি।
বাবার দুধ বিক্রির টাকায় সংসার চালিয়ে বাকি বাঁচানো টাকা দিয়ে ক্রিকেটের ট্রেনিং নিয়ে আজ তাই প্রিয়ম আইপিএল-এর অনর্ধ্ব ১৯-এর তালিকায় এক অন্য নাম হয়ে উঠেছে। শুধু পরিচয় পাওয়াই নয়। দাম উঠেছে নব্বই লক্ষ্ টাকা। যা তাঁর ও তাঁর পরিবারের স্বপ্নাতীত। মাকে হারিয়ে বাবা ও বোনকে নিয়ে ছিল সংসার। কিন্তু সেই সংসারেও ছিলনা স্বচ্ছ্লতা, স্বাচ্ছন্দ্য।
তবুও নিজের মনের জেদ ও বাবার পরিশ্রম থেকে ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রেখেছিল প্রিয়ম গর্গ। আগামী আইপিএল-এর মরশুমে তাঁকে হায়দরাবাদের হয়ে খেলতে দেখা যাবে।তবে শুধু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেই নয়। আগামী বছরের আইসিসি অনুর্ধ্ব ১৯-এর বিশ্বকাপে উত্তরপ্রদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব দেবেন প্রিয়ম। তাই তো আইপিএল-এর নিলামে কিন্তু তাঁর চাহিদাও ছিল যথেষ্ট। একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।
তবে এতটা সাফল্যের হয়তো আশা করেনি প্রিয়ম। কিন্তু যথেষ্টই খুশি সে।তাই তো বাবার আত্মত্যাগের দাম দিতে পেরে যথেষ্ট আনন্দিত বলে জানিয়েছে প্রিয়ম। ইতিমধ্যেই তাঁর ঝুলিতে উঠেছে রেকর্ডও । রঞ্জি ট্রফিতেও খেলেছে সে। পাশাপাশি প্রথ সারির ক্রিকেটে ডবল সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে।