বাংলা হান্ট ডেস্ক : আমাকে ধাক্কা মেরেছে যোগীর পুলিশ, হেনস্থাও করা হয়েছে ঠিক এমনটাই অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শনিবার প্রাক্তন আইপিএস অফিসারের গ্রেফতারির পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে লখনউ গেলে তাঁকে আটকে দেওয়া হয বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বটরা। প্রিয়াঙ্কার হেনস্থা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্বরা। তবে এবার ঠিক সেদিন কি হয়েছিল? সেই ঘটনার বিবরনী দিলেন নেত্রীর দায়িত্বে থাকা এক সিআরপিএফ। তিনি জানান প্রিয়াঙ্কা নাকি নির্দিষ্ট কর্মসূচি থেকে সরে এসেছিলেন, অর্থাত্ নিয়ম লঙ্ঘন করেছিলেন।
কেন্দ্রীয় রীজার্ভ পুলিশ বাহিনী তরফে আরও জানানো হয়েছিল শনিবার কংগ্রেসের কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়া ছাড়া প্রিয়াঙ্কার নাকি আর কোনো রকম কর্মসূচি ছিল না। পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, পুলিশের সঙ্গে যে প্রিয়াঙ্কার ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে সেই ঘটনাকেও তিন ভাগে ভাগ করেছেন ওই সিআরপিএফ। ‘অনির্ধারিত আন্দোলনে’ লিপ্ত হয়ে সুরক্ষা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করেছেন; এক নাগরিকের গাড়িতে করে ব্যক্তিগত সুরক্ষাকর্মী ছাড়াই ভ্রমণ; এবং একটি দু’ চাকার যানে যাত্রা করেছেন।
আসলে লখনউ -এর দারাপুরীর বাড়িতে যাওয়ার পথে মোট তিনবার তাঁদের রাস্তা আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলের প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। প্রথমে তাঁদের কনভয় আটকে স্কুটারে যেতে বাধ্য করা হয়। এরপর দু কিমি যেতে না যেতেই তাঁদের পুলিশ আবারও রাস্তা আটকে রীতিমতো হেনস্থা করে বলে অভিযোগ তোলেন প্রিয়ঙ্কা। প্রিয়ঙ্কার হেনস্থার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কংগ্রেসকর্মী সমর্থক ও নেতা নেত্রীরা।
অন্যদিকে রাজনীতিবিদ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর হেনস্থা নিয়ে মোদীকে বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি একটি বার্তায় লিখেছিলেন, যদি নেহেরু বা গান্ধী পরিবারের মেয়েদের এমন অবস্থা হয় সেক্ষেত্রে দেশের সাধারণ মানুষের কি হবে তা ভেবে তিনি অত্যন্ত শঙ্কিত বলে জানান। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন নিজের নিরাপত্তা বাড়িয়ে গান্ধী পরিবারের সদস্যদের এসপিজি কমিয়ে দিয়ে তাঁদের সঙ্গে লজ্জাজনক ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে পুলিশ, এমনটাও অভিযোগ তোলেন তিনি।