বাংলাহান্ট ডেস্ক: ক্ষণে ক্ষণে মত বদলাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)। তিন বছর পর ভারতে এসেছিলেন তিনি। আর এসেই চলে গিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশে। ইউনিসেফের গুডউইল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর তিনি। উত্তরপ্রদেশের পরিবর্তন দেখে খুশিই হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। নারী এবং শিশু কল্যাণে যেভাবে কাজ করেছে যোগী সরকার তাতে মুগ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু এখন আবার সুর বদলেছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশ সফরের কিছু ভিডিও শেয়ার করেছেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, তিনি নিজে লখনউতে বড় হয়েছেন। তিনি খুব ভাল ভাবেই জানেন, রাজ্যটা মেয়েদের জন্য মোটেই নিরাপদ নয়। বিশেষ করে সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে মেয়েদের রাস্তায় বেরোনোই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।
ভিডিওতে এক পুলিসকর্মীর সঙ্গে কথাবার্তা বলতে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কাকে। তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশের মতো একটি রাজ্যে, যেখানে তিনি নিজেও লখনউতে বড় হয়ে উঠেছেন। একটা ভয় কাজ করে, বিশেষ করে সন্ধ্যা সাতটার পরে ভয়টা আরো বেশি জাঁকিয়ে বসে মেয়েদের মনে। প্রিয়াঙ্কার এমন মন্তব্য স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।
লখনউয়ে দুদিন ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিনেত্রী বলেছিলেন, গত দুদিনে তিনি একটা বড় পরিবর্তন দেখেছেন উত্তর প্রদেশে। এই বদলটার খুব দরকার ছিল এ রাজ্যে, মন্তব্য করেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি আরো বলেন, এখন সর্বাধিক মেয়েরা স্কুলে পড়তে যাচ্ছে সে রাজ্যে। শিশুদের পুষ্টির জন্য অনেক কাজ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশের মধ্যে প্রথম নিউট্রিশন অ্যাপ উত্তর প্রদেশই উদ্ভাবন করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা সহ চিকিৎসকরাও অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের খোঁজ পেতে পারেন এবং তাদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন।
শুধু শিশুরা নয়, মহিলাদেরও অনেক উন্নয়ন হয়েছে উত্তর প্রদেশে। প্রিয়াঙ্কা বলেন, তিনি আশা জ্যোতি সেন্টারে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি অনেক মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছেন যারা এক সময় হিংসা, অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন। শিশুদের পড়াশোনা ছাড়াও করোনার সময়ে অনাথ হওয়া শিশুদের সাহায্যের জন্যও নানা প্রকল্প শুরু হয়েছে উত্তর প্রদেশে। সব দেখেশুনে খুশিই ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তবে নতুন করে তাঁর এই মন্তব্য বিতর্ক তৈরি করেছে।