বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত বছর এই সময় নাগাদই একের পর এক টলিউড তারকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার খবর সামনে আসছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি প্রায় ফাঁকা করে রাজনীতির আঙিনায় নেমে পড়েছিলেন বহু তারকাই। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরেই অবশ্য তাদের মধ্যে অনেকেই নানান রকম কারণ দেখিয়ে ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন। এবার কি প্রিয়াঙ্কা সরকারের (Priyanka Sarkar) রাজনীতিতে আসার পালা?
গত বছর যে সমস্ত তারকা রাজনীতিতে আসার ধুম থেকে গা বাঁচিয়ে ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রিয়াঙ্কা। এ বছর কি সিদ্ধান্ত বদলালেন? আসলে যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) সঙ্গে সম্প্রতি একই গাড়িতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। তারপর থেকেই শুরু এমন গুঞ্জন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন সায়নী। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সমাজসেবা মূলক কাজে যাওয়ার পথে আমার প্রিয় সঙ্গী প্রিয়াঙ্কা, যে আবারো ফিট হয়ে উঠেছে।’ একসঙ্গে হুগলীর পথে গিয়েছেন তাঁরা। সায়নীর সঙ্গে সমাজসেবার কাজে প্রিয়াঙ্কা! রাজনীতিতে আসছেন নাকি শুধুই একসঙ্গে সফর?
জানা গিয়েছে, একটি স্কুল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন সায়নী ও প্রিয়াঙ্কা। না, এতে কোনো রাজনীতি জড়িয়ে নেই। কারণ সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরেও সায়নী এবং প্রিয়াঙ্কা দুজনেই সমাজ সেবার সঙ্গে যুক্ত। এক্ষেত্রে গন্তব্য এক ছিল বলেই একসঙ্গে গিয়েছেন দুই বন্ধু।
https://www.instagram.com/p/CbW-xcfrIpR/?utm_medium=copy_link
উল্লেখ্য, এই নিয়ে তিন মাস পর বাড়ির বাইরে পা রাখলেন প্রিয়াঙ্কা। গত ডিসেম্বর মাসে পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। নিউটাউনের কাছে খোলা রাস্তার উপরে শুটিং চলছিল ‘মহাভারত মার্ডারস’ নামে একটি ওয়েব সিরিজের। রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ আচমকাই শুটিংয়ের মাঝে ঢুকে পড়ে এক বাইক চালক। তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর ধাক্কায় গুরুতর জখম হন প্রিয়াঙ্কা ও অর্জুন চক্রবর্তী।
সঙ্গে সঙ্গে কাছাকাছি এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দুই তারকাকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মুকুন্দপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। ভাঙা পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। হাঁটুর নীচে বসানো হয় প্লেট। তারপর থেকে বিশ্রামে ছিলেন তিনি।