‘এ জীবনে হয়তো অপরাধীকে ধরতে পারব না!’, পার্থ প্রসঙ্গে এ কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অদ্ভুত এক মন্তব্য করে বসলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এদিন এজলাসে তিনি বলেন, ‘এসএসসি দুর্নীতিতে (SSC Scam Case) আমার জীবদ্দশায় হয়তো মূল অপরাধীকে ধরতে পারব না। কিন্ত ইডি (ED), সিবিআই (CBI) নিশ্চই আসল অপরাধীকে ধরতে পারবে।’– আজ, বৃহস্পতিবার আদালতে টেট মামলার শুনানির শেষে, দর্শকাসনে থাকা এক সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) গর্বের জায়গাটা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে!’

আজ টেট মামলার শেষে বিচারপতি যখন উঠতে যাবেন, ঠিক তখনই এজলাসে তাঁর সামনে এসে দাঁড়ান নাকতলার বাসিন্দা সুমিত ভট্টাচার্য। তিনি বিচারপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের মানুষের জন্য আপনি যা করেছেন তার কোনও তুলনা হয় না। আমার বৃদ্ধ মাও আপনার বড় ভক্ত।’

এর পরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তোলেন সুমিতবাবু। তিনি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পোষা কুকুর, তার পরিচারিকা– এসব নিয়ে যে এত রমরমা, তা আমরা নাকতলায় গোটা পাড়া জানতাম। পাড়ার বাচ্চারাও জানত। সবাই জানত। শুধু পুলিস নাকি জানত না, ইডি নাকি জানত না। আপনি এই নিয়ে যা করেছেন, খুবই ভাল কাজ করেছেন। আপনি বাংলার গর্ব।’

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি এই ব্যাপারে সবই জানি। কুকুর, পরিচারিকা– কিছুই আমার অজানা নয়।’ এর পরে সুমিতবাবু বলেন, আসল অপরাধীকে নিশ্চয় একদিন ধরতে পারবেন বিচারপতি। তখনই বিচারপতি বলেন, ‘আমার জীবদ্দশায় হয়তো মূল অপরাধীকে ধরতে পারব না। কিন্ত ইডি, সিবিআই নিশ্চয় আসল অপরাধীকে ধরতে পারবে।’

এদিন সুমিতবাবু বিচারপতিকে আরও জানান, নানা কাজে তাঁকে ভুবনেশ্বরে যাতায়াত করতে হয়। বারবার যাওয়া আসা করে তাঁর মনে হয়, ওড়িশা অনেক এগিয়ে আছে বাংলার থেকে। বিচারপতির জবাব, ‘তা আমি বলতে পারব না, তবে বাংলার সাথে তুলনা করবেন না ওড়িশার। আমি কলকাতা এয়ারপোর্ট এবং ভুবনেশ্বর এয়ারপোর্ট দেখেছি। ভুবনেশ্বর এয়ারপোর্ট এত ফাঁকা যে ফুটবল খেলা যাবে। আর কলকাতা এয়ারপোর্টে তো মানুষ দাঁড়ানোর জায়গাই নেই।’

এর পরে পুরনো এক ঘটনার প্রসঙ্গজ টেনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘একবার আমি ভুবনেশ্বর থেকে ফিরছিলাম, তখন আমায় উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেছিল কিছু ছাত্র। ওরা বলছিল, পশ্চিমবঙ্গের টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি হতে হয়, টাকা নিয়ে চাকরিও দেওয়া হয়। এই কথাগুলো আমায় খুবই আঘাত করেছিল। যেভাবেই হোক পশ্চিমবঙ্গের গর্বের জায়গাটা ফিরিয়ে আনতে হবে।’


Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর