বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকাল সরগরম ছিল ভারতীয় রাজনীতি। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে বিরোধীদের রণনীতি ঠিক করতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল। অথচ সেখানেই নিজেদের ইস্যু নিয়ে তুমুল বাদ-বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন আপ (AAP) সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) ও কংগ্রেস (Congress) সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এগিয়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বিবদমান দু’জনকে বুঝিয়ে শান্ত করেন। মনে করিয়ে দেন, এখানে তাঁরা সকলে বিজেপি বিরোধিতার রণকৌশল তৈরি করতে বসেছেন। তখনকার মতো ঝামেলা থেমে গেলেও বৈঠকের তাল কিছুটা কাটে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বেরিয়ে যান বৈঠক থেকে। সম্ভবত আগামী মাসের বৈঠকে থাকবে না আপ।
কংগ্রেসকে নিয়ে বিরোধী জোটে যোগ দিতে আপের আপত্তি ছিল আগেও। আমলাদের নিয়োগ, বদলি নিয়ে দিল্লি সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা কাড়তে কেন্দ্রের বিতর্কিত অর্ডিন্যান্সের (Ordianance) বিরোধিতায় বিরোধী দলগুলির নেতানেত্রীদের দরবারের পৌঁছে গিয়েছিলেন। আবেদন জানিয়েছিলেন অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতায় রাজ্যসভায় ভোট দিতে। অনেকের সমর্থনও পেয়েছেন তিনি। তবে কংগ্রেস এ বিষয়ে নীরব ছিল। ‘হাত’ শিবিরের মত, এখনই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই।
শুক্রবার পাটনায় ১৭ বিরোধী দলের বৈঠকে সেই বিষয়ই ওঠে। কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) কংগ্রেসের কাছে তাঁদের আবেদনে সাড়া দিচ্ছে কি না, তা এখনই স্পষ্ট করতে হবে। অর্থাৎ অর্ডিন্যান্স নিয়ে আপের পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস রাজ্যসভায় ভোট দেবে কি না, তা জানিয়ে দিক। তাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, এটা লোকসভা নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি বৈঠক, এখনই নিজেদের ইস্যু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই।
জানা যাচ্ছে, এরপরই ফুঁসে ওঠেন কেজরিওয়াল। বৈঠকে রীতিমত বাকবিতণ্ডা শুরু হয় খাড়গে ও কেজরিওয়ালের মধ্যে। শেষপর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে যান বিবাদ থামাতে। তিনি রাহুল গান্ধীকে ডেকে বলেন, ‘আপনি এটা মিটিয়ে ফেলুন। মনে রাখতে হবে আমরা কিন্তু এখানে বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে কথা বলতে একজোট হয়েছি।’
তারপর তাঁদের থামানো হয়। তবে এই কথা কাটাকাটির পর বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান কেজরিওয়াল। পরে বিবৃতি দিয়ে আপ জানায়, কংগ্রেস রয়েছে এমন জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে কি জোটের শুরুতেই ভাঙন? তেমন হলে অর্ডিন্যান্স ইস্যুতে কংগ্রেসের সমর্থন আদায় না হলে হয়ত বিরোধী জোটে থাকবে না আপ। যদিও এখনই এ বিষয়ে ভাবতে নারাজ বিরোধীরা।