রাজ্য সভাপতির অপসারণের দাবি! বিজেপির অন্দরের কোন্দলে তোলপাড় ত্রিপুরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় টালমাটাল গেরুয়া শিবির। অন্তর্দ্বন্দ্ব, দলত্যাগ, শাসক দলের চাপ ইত্যাদির জেরে রীতিমতো বিপাকে রাজ্য বিজেপি। তবে বাংলার পথে হেঁটেই ভাঙন ধরল ত্রিপুরার পদ্ম শিবিরেও। সে রাজ্যে বিজেপি সভাপতির অপসারণের দাবি জানালেন নেতাদের একাংশ। এহেন পরিস্থিতিকে ঘিরে কার্যতই তীব্র চাঞ্চল্য এবং বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি মানিক সাহাকে পদ ছাড়তে বলে চিঠি দিয়েছেন দলের পুরোনো নেতারা। তিন পাতার এই চিঠিতে তাঁদের অভিযোগ রাজ্য বিজেপিতে কোনো প্রভাবই ফেলতে পারেননি মানিক। দলকে শক্তিশালী করে তুলতেও সম্পুর্ণ ব্যর্থ তিনি। বিগত এডিসি নির্বাচনে হারের পর মানিক সাহার নেতৃত্বাধীন থাকলে কী হবে দলের ভবিষ্যৎ তা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আদি নেতারা।

যদিও তিনি পদত্যাগ করবেন না এমনটাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি। তাঁর অপসারণের দাবি করা নেতাদের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগ আনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বিজেপি ছাড়েন দুই বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিসকুমার সাহা। দলত্যাগের আগেই সুদীপ রায় বর্মণ জানিয়েছিলেন যে ২০২৩ সালে বিজেপির টিকিটে লড়তে আর কোনো আগ্রহই নেই তাঁর। তিনি বলেছিলেন, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই, ফলে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা রাজ্যবাসীর। গণতন্ত্রের অক্সিজেন ফুরিয়ে গেছে এমনটাও বলেন তিনি। এমনকি মানুষের কন্ঠস্বর রোধ করা হচ্ছে ত্রিপুরায় এই অভিযোগও এনেছিলেন সুদীপ। এই সমস্ত দলবিরোধী কাজের জেরে তাঁকে মন্ত্রী পদ থেকে অপসারণ অবধি করেছিল বিজেপি। এরপরই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ এই নেতা। তাঁকে একাধিকবার তৃণমূলের প্রতি সহানুভূতিশীল হতেও দেখা গেছিল। এমনকি দিল্লি যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে বিপ্লব দেবকেও আক্রমন করতে ছাড়েননি তিনি। এহেন অবস্থায় কার্যতই বিপাকে বিজেপি। এখন হাল ধরতে কী পদক্ষেপ নেবে শীর্ষ নেতৃত্ব তাই দেখার।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর