বাংলা হান্ট ডেস্ক : পুজো (Durgapuja) মানেই এক অন্য আবেগ। পঞ্চমী থেকে দশমী এই ছয়দিন বাঙালির কাছে মা-ই সব। উমার আগমন থেকে শুরু করে উমাকে বিদায় এই নিয়েই মেতে থাকে গোটা বাংলা। আর তারমাঝেই চলে পেটপুজো, প্যান্ডেল হপিং আর সিনেমা দেখা। যে কারণে পুজোর আগে আগে সিনেমাও রিলিজ করে একগুচ্ছ। চলতি বছরেও তার অন্যথা হয়নি। একগুচ্ছ বাংলা ছবি মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। দেব (Dev), প্রসেনজিৎ (Prosenjit Chatterjee), যিশু (Jisshu Sengupta), আবির (Abir Chatterjee), মিমি, কোয়েলরা এবার মুখোমুখি পুজোর ছবির লড়াইয়ে।
ইতিমধ্যেই ‘বাঘাযতীন’ (Bagha Jatin), ‘দশম অবতার’ (Dawshom Awbotaar), ‘রক্তবীজ’, ‘মিতিন মাসি’ ছবির প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। কেউ বলছেন ‘মিতিন মাসি’র কথা তো কারো কাছে আবার ‘রক্তবীজ’ সেরা। কেউ কেউ আবার ‘বাঘা যতীন’ ও ‘দশম অবতার’এ মজেছে। এসবের মাঝেই বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে হাজির হলেন প্রযোজক অভিনেতা দেব। অভিনেতা বললেন, অনেকেই নাকি ইচ্ছে করে কম রেটিং দিচ্ছে।
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে, প্রযোজক-অভিনেতা এমনটাই অভিযোগ করেছেন। অভিনেতার কথায়, ‘কিছু লোক আছেন যাঁরা তাদের ব্যক্তিগত/লুকানো এজেন্ডাগুলির জন্য অনলাইনে #বাঘাযতীনের জন্য কম এবং জাল রেটিং দিচ্ছেন..।’ এরপরেই দেব প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ‘কিন্ত আপনি কি মনে করেন না যে ন্যায্য খেলার এবং সত্যিকারের সিনেমাকে সমর্থন করার জন্য এগিয়ে আসার সময় এসেছে? আসুন পরিবর্তন আনতে সাহায্য করার জন্য পরিবর্তনের জন্য বাস্তব হই..’।
আরও পড়ুন : দীপা নয়, ভাইবউ উর্মিতে মজেছে সূর্য! সোশ্যাল পোস্ট করে দিলেন বিশেষ বার্তা
উল্লেখ্য, এই বিষয়টা সবার আগে সামনে এনেছিলেন, মৈনাক ভট্টাচার্য নামে দেবের এক অনুরাগী। তার টুইটকেই রিটুইট করে এই মন্তব্য করেছেন দেব। জানিয়ে রাখি, ছবি মুক্তির পর বাংলায় হিন্দি ছবি ‘গণপথ’ পেয়েছে ১৫৩টা শো, ‘দশম অবতার’র দখলে ২১৪টি শো। এদিকে ‘বাঘা যতীন’ পেয়েছে ১৬৬ টি শো, এবং ‘রক্তবীজ’ পেয়েছে ১২৯টি শো। তবে পিছিয়ে রয়েছে ‘মিতিন মাসি’। কোয়েলের দখলে রয়েছে ১০৪টি শো। ওদিকে হিন্দি ছবি ‘লিও’র দখলে রয়েছে ৪২টা শো।
আরও পড়ুন : বউকে সুখ দেওয়ায় ওস্তাদ শোভন! বছরে বছরে দেন এই বিশেষ উপহার, স্বীকারোক্তি বৈশাখীর
হলে মানুষের ভিড় কেমন? বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ষষ্ঠীতে ‘দশম অবতার’র ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। ৫৭ টি শো’তেই দর্শক ভর্তি ছিল। যার ২ টি ছিল হাউজফুল। এদিকে ‘বাঘা যতীন’র প্রায় ২৩ টি শো ভর্তি ছিল। ১ টি ছিল হাউসফুল। অন্যদিকে মিমির ‘রক্তবীজ’র প্রায় ২৬ টি শো ছিল ভর্তি। তবে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে কোয়েলের ‘মিতিন মাসি’। মাত্র ৮ টি শো দর্শকভর্তি এবং মাত্র ১ টি শো হাউসফুল।