বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। গত বছর দুর্নীতির কারণে ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একধাক্কায় বাতিল হয়েছিল প্রায় ২৬,০০০ চাকরি। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ঝুলে রয়েছে তাঁদের ভাগ্য। এই আবহে সামনে আসছে অধ্যাপক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ।
অধ্যাপক নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে তোলপাড়!
অধ্যাপক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ, নম্বরে কারচুপি করে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি অযোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়।
পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা এবং জীববিদ্যা বিভাগের নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে উত্তরবঙ্গ তফশিলি সংগঠন। তাদের দাবি, দুই বিভাগেই নিয়োগের ক্ষেত্রে নম্বরে কারচুপি করা হয়েছে। যোগ্যদের পরিবর্তে নিয়োগ করা হয়েছে অযোগ্য প্রার্থীদের।
আরও পড়ুনঃ ৩১ জানুয়ারির মধ্যে…! নতুন বছরেই নিয়োগ নিয়ে বড় খবর! মমতার উদ্যোগে ধন্য ধন্য করছে সকলে
সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাত বর্মণের দাবি, বাংলা বিভাগের প্রার্থীদের তালিকায় শীর্ষে ছিল অভিজিৎ বর্মণের নাম। ৬৫.৩০ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে তালিকায় সবার নীচে ছিল কল্পনা রায়ের নাম। তিনি পেয়েছিলেন ৪৮.৬৫ নম্বর। তবে অভিযোগ, ট্যাবুলেশন শিটে কাটাকুটি করে তালিকার শীর্ষে থাকা অভিজিতের চেয়ে কল্পনার নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
বাংলা বিভাগের মতো জীববিদ্যা বিভাগের নিয়োগের ক্ষেত্রেও এহেন দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। সেখানেও একইভাবে সুতপা সান্যালের নম্বর কমিয়ে হাদিদা ইয়াসমিনের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই দুই বিভাগের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ তফশিলি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও জীববিদ্যা বিভাগের নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ আনা হলেও তা অস্বীকার করেছেন তৎকালীন উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক নিয়োগের কমিটিতে উপাচার্য থাকেন না। বিশেষজ্ঞ কমিটি তালিকা তৈরি করেছে। সেই কমিটির কোনও সদস্য যদি কাটাকুটি করে থাকেন, তাহলে তাঁর স্বাক্ষর পাশে থাকা উচিত। তাছাড়া সর্বসম্মতিক্রমে দু’টি নিয়োগ হয়েছে’।