বাংলাহান্ট ডেস্ক: আবারো একটা মন খারাপের দিন টলিউডে। প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)। মাত্র ৫৭ তেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। সকালে খবরটা পাওয়া মাত্রই শোক প্রকাশ করতে শুরু করেছেন টলি ও টেলিপাড়ার অভিনেতা অভিনেত্রীরা। টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি তো আরেকটা পরিবার হয়ে গিয়েছিল অভিষেকের। অভিমান নিয়ে টলিউড থেকে চলে আসার পর টেলিভিশনই আপন করে নিয়েছিল তাঁকে।
যাঁদের জন্য এত অভিমান, যে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর (Rituparna Sengupta) দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি, কী প্রতিক্রিয়া তাঁদের? অভিষেকের মৃত্যুতে কার্যত ভেঙে পড়েছেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি স্পষ্ট বলেন, এতদিন যাবৎ অনেক মৃত্যু সংবাদের প্রতিক্রিয়া দিলেও এই খবরে কিছু বলতে পারবেন না তিনি।
অভিনেতার হাহাকার, একের পর এক মৃত্যু তিনি দেখে যান আর প্রতিক্রিয়া দিয়ে যান। কিন্তু এবারে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। পুরনো স্মৃতি হাতড়ে প্রসেনজিৎ জানান, অভিষেকের বিয়েতে বরকর্তা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই অভিষেকই আজ কত দূরে। বন্ধু তথা সহকর্মীর সঙ্গে শুধু ভাল স্মৃতিগুলোই মনে রেখে দিতে চান প্রসেনজিৎ।
মন খারাপ ঋতুপর্ণারও। অনেক অভিমান নিয়ে চলে গিয়েছেন ‘মিঠু’। ভুল বোঝাবুঝিগুলো মেটানোর সুযোগটুকুও দিলেন না। ঋতুপর্ণা জানান, বরাবরই জেদী ছিলেন অভিষেক। উপরন্তু অনেক কিছু না পাওয়ার ক্ষোভ জমেছিল মনে। সেই থেকে নিজেই হয়তো নিজের ক্ষতি করেছেন।
ইন্ডাস্ট্রিতে প্রসেনজিতের মতো অভিষেক-ঋতুপর্ণা জুটিও খুব জনপ্রিয় ছিল। বহু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন দুজনে। এমনকি অভিনেত্রী জানান, পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের কাছে অভিষেকই তাঁর প্রশংসা করেছিলেন। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল তাঁদের।
তবুও মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়। ঋতুপর্ণা বলেন, অভিষেক সবসময় তাঁর ভাল চাইতেন। তবুও প্রকাশ্যেই তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলেন যা সত্যি নয়। মিঠুর সেই অভিমানটা আর দূর করার সুযোগ পেলেন না ঋতুপর্ণা, এটাই আক্ষেপ।