বাংলাহান্ট ডেস্ক: আরো দশ বছর একসঙ্গে জীবন কাটানোর কথা ছিল। শেষ দিনের শুটিংয়ে এসেও স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়ের দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছিলেন না অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)। কিন্তু বিধাতা বোধকরি অলক্ষ্যে বসে হেসেছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে শেষ শুটিংয়ের দিন রাতেই চিরতরে চোখ বোজেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
অভিনেতার মৃত্যুর পর একাধিক ছবি, ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। কোথাও তাঁকে ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে, আবার কোথাও কেরিয়ার জীবনের অজানা কথা জানিয়েছেন অভিষেক। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অভিনেতার বিয়ের একগুচ্ছ ছবি।
১৪ বছর আগে সংযুক্তার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন অভিষেক। না, প্রেমের বিয়ে নয় দুজনের। ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের দৌলতে আলাপ দুজনের। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কটা প্রেমের থেকে কম কিছু ছিল না। সংযুক্তা জানিয়েছিলেন, অভিষেককে প্রথম বার দেখেই তাঁর মনে হয়েছিল এই মানুষটার সঙ্গে সারা জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়।
২০০৮ সালের একগুচ্ছ স্মৃতি আবারো উজ্জ্বল হয়ে ফিরে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দায়। লাল সাদা ডিজাইনার পাঞ্জাবি পরেছিলেন অভিষেক। সুপুরুষ বরের দিক থেকে চোখ সরানোই যাচ্ছে না।
অন্যদিকে লাল বেনারসী, এক গা গয়না, কপালে চন্দন আর মাথায় চেলি পরে সুন্দরী কনে সংযুক্তা। তাঁদের বিয়েতে চাঁদের হাট বসেছিল। বরকর্তা হয়ে গিয়েছিলেন সস্ত্রীক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, লাবণি সরকার, শ্রীলেখা মিত্র, হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতা অভিনেত্রীরা।
সিঁদুর দানের সময় কনে সংযুক্তার পাশেই বসেছিলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। সিঁদুরদান হয়ে গেলেই হাসিমুখে লজ্জাবস্ত্র টেনে দেন তিনি। বিয়ের সময় টলিউড থেকে অনেকটাই সরে এসেছিলেন অভিষেক। অনেক ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এর জন্য ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতিকেই দায়ী করেছিলেন অভিষেক।