বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘মায়ার বাঁধন’ ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তখনো তিনি পুরোদস্তুর নায়িকা হয়ে ওঠেননি। অভিনয় করেছেন শিশুশিল্পী হিসাবে। কয়েক দশক পর বড়পর্দায় ফিরেছে সেই জুটি। ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবিতে প্রসেনজিতের বিপরীতে আবারো দেখা যাবে শ্রাবন্তীকে।
সত্তরের দশকের নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সাজানো হয়েছে কাবেরী অন্তর্ধানের গল্প। প্রেমকাহিনি হলেও সেই সময়কার কলকাতার উত্তাল রাজনীতি এবং সমাজের চিত্রটাও উঠে আসবে ছবিতে। ছবির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ব্যক্তিগত জীবনের কিছু ঘটনাও উঠে আসে ‘ইন্ডাস্ট্রি’র স্মৃতিচারণায়।
তখন প্রসেনজিৎ এবং তাঁর বোন পল্লবী দুজনেই খুব ছোট। শহরে নকশাল আন্দোলনের সময়টা দেখেছেন দুজনেই। পরিস্থিতি সম্পর্কে তখন সম্যক ধারণা না থাকলেও আবছা কিছু স্মৃতি রয়ে গিয়েছে অভিনেতার। সে সময়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, টালিগঞ্জের বড় বাড়িতে তাঁদের দুই ভাইবোনকে নিয়ে একা থাকতেন মা রত্না চট্টোপাধ্যায়।
সন্ধে হলেই লোডশেডিং হয়ে যেত সে সময়ে। অন্ধকারের মধ্যে গোটা পাড়া মাঝেমাঝেই সচকিত হয়ে উঠত বোমা, গোলাগুলির আওয়াজে। সমস্ত দরজা জানলা বন্ধ করে মোমবাতি জ্বেলে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন রত্না।
প্রসেনজিৎ জানান, বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বেশিরভাগ সময়টাই শুটিংয়ের জন্য মুম্বইতে থাকতেন। ওই বড় বাড়িতে একা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন রত্না। তারপরেই দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে দমদমে বাপের বাড়িতে এসে ওঠেন তিনি। সেখানে অনেক লোকের মাঝে নিরাপত্তা খুঁজে পেয়েছিলেন অভিনেতার মা।
প্রসেনজিৎ এও জানান, নকশাল আন্দোলন চলাকালীনই তাঁদের এক আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছিল। তখন রাজনীতি বুঝতেন না ছোট্ট বুম্বা। মতাদর্শ অনেক পরের কথা। পরে বড় হয়ে নকশাল আন্দোলনের কথা পড়েছেন তিনি। তখন সবটা বুঝতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেন প্রসেনজিৎ।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে কাবেরী অন্তর্ধান। ছবিতে কাবেরীর ভূমিকায় রয়েছেন শ্রাবন্তী। অন্যদিকে এক শিল্পীর চরিত্রে দেখা মিলবে প্রসেনজিতের। এছাড়াও রয়েছেন কৌশিক সেন, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল সেন, পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও।