বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিনেমার ‘লাইনে’ আসতে হলে পড়াশোনার বিশেষ দরকার নেই। একথা অনেকেই শুনে থাকবেন। এমন অভিনেতা অভিনেত্রীদের কথাও শোনা যায় যারা অভিনয়ের জন্য পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেননি। কিন্তু গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে আসলে শিক্ষার প্রয়োজন নেই, একথা কি আদৌ সঠিক?
বহুবার বহু অভিনেতা অভিনেত্রী প্রমাণ দিয়েছেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা চমকপ্রদ হওয়া সত্ত্বেও অন্য চাকরি ছেড়ে অভিনয় করা যায়। এই তালিকায় রয়েছে একাধিক সুপারস্টারও। এমনকি রয়েছেন টলিউডের আপন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও (Prosenjit Chatterjee)। টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ পড়াশোনায় কেমন ছিলেন? সম্প্রতি নিজের মুখেই জানিয়েছেন একথা।
পর্দায় তিনি একশোয় একশো। ৩০০ র ওপরে ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ। শিশুশিল্পী হিসাবে শুরু, ষাটের কাছাকাছি পৌঁছেও অপ্রতিরোধ্য তিনি। বিগত প্রজন্মের বর্ষীয়ান অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে যেমন অভিনয় করেছেন, তেমনি নতুন প্রজন্মের সঙ্গেও পাল্লা দিয়ে ছুটছেন প্রসেনজিৎ। নিজেকে ভেঙে গড়ে ‘পোয়েনজিৎ’ থেকে প্রসেনজিৎ হয়েছেন।
কেরিয়ারে ৩০০ র বেশি সিনেমা, দেশজোড়া খ্যাতি, আকাশ ছোঁয়া সাফল্য। বাস্তব জীবনে কতটা পরিস্কার ছিল তাঁর মাথা? পড়াশোনায় কেমন ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, পড়াশোনায় বেশ ভালোই ছিলেন তিনি।
মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছিলেন বলে জানান বুম্বাদা। লেখাপড়ায় বেশ ভাল ছিলেন তিনি। মেধাবী পড়ুয়া হওয়া সত্ত্বেও অভিনয়েই পা রেখেছিলেন প্রসেনজিৎ। বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন অভিনেতা। যদিও টলিউডের তুলনায় বলিউডে বেশি কাজ করেছেন তিনি। তবে প্রসেনজিতের টলিউডই ঘরবাড়ি।
দীর্ঘ অভিনয় কেরিয়ারে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ তকমা পেয়েছেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দায়িত্ব বেড়েছে ইন্ডাস্ট্রির প্রতি। শুধু অভিনেতা এখন আর নন তিনি। অনেক গুণ দায়িত্ব তাঁর। সিইওর মতোই কাজকর্ম, দায়িত্ব পালন করতে হয় তাঁকে। তাই নিজেই নিজেকে ইন্ডাস্ট্রি নয়, টলিউডের সিইওর খেতাব দিয়েছেন প্রসেনজিৎ।