‘ভীষণ ইচ্ছে…’, প্রসেনজিৎ-র কাছে বিশেষ আবদার মমতা ব্যানার্জির! মুখ খুললেন বুম্বাদা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সেই কোন মহালয়ার দিন থেকে শুরু হয়ে গেছিল পুজার উন্মাদনা। পাড়ায় পাড়ায় ঠাকুর দেখা থেকে শুরু করে সাজপোশাকের প্ল্যানিং সবই শুরু হয়ে গেছিল এক সপ্তাহ আগে থেকেই। আর অবশেষে সেই উৎসবে ইতির বার্তা নিয়ে এল পুজো কার্নিভাল। রেড রোডে অনুষ্ঠিত কার্নিভালে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সাথে উপস্থিত ছিলেন টলিপাড়ার একাধিক নক্ষত্র। হাজির হয়েছিলেন দেব (Dev), প্রসেনজিৎ (Prosenjit Chatterjee), ঋতুপর্ণাদের অনেকেই।

এই অনুষ্ঠানের মাঝেই দেখা গেল বুম্বাদার (Bumbada) সাথে একান্তে গল্প করতে ব্যস্ত রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রসেনজিৎকে (Prosenjit Chatterjee) কী বলছিলেন তিনি? জানা গেল এইদিন বুম্বাদার কাছে নাকি এক বিশেষ আবদার রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সুপ্রিমোর আর্জি, তিনি দশম অবতার দেখতে চান। উল্লেখ্য, ১৯ অক্টোবর মুক্তির পর থেকেই ফাটিয়ে ব্যবসা করছে এই ছবি।

এইদিন এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, ‘দিদি খুব খুশি। উনি বেশ কয়েকদিন অসুস্থ থাকার দরুন বাড়িতেই ছিলেন। গুমনামি দেখেছেন তখন। আজ আমায় বললেন নেতাজির চরিত্রে খুব ভালো অভিনয় করেছ। এতদিন পর আমি দেখলাম ছবিটা। দশম অবতার নিয়েও অনেক কথা শুনছি, ভীষণ ইচ্ছে দেখার।’

আরও পড়ুন :

অভিনেতা আরও জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের এক উর্দ্ধতন আধিকারিকও নাকি তাকে ফোন করেছিলেন। বুম্বাদার কথায়, ‘কলকাতা পুলিশের একজন অফিসার আমায় মধ্যরাতে ফোন করে বলেন এতদিন পর্দায় আমরা একজন সত্যিকারের পুলিশ অফিসারকে দেখলাম। আপনার শরীরী ভাষা, সংলাপ সবটাই যেন একেবারে বাস্তব। এটাই বাংলার পুলিশ। সৃজিতও এটাই চেয়েছিল, যাতে আমার চরিত্রটা কোনও হিরো না হয়ে যায়, বরং একজন সত্যিকারের পুলিশ হয়ে ওঠে।’

আরও পড়ুন :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘দশম অবতার’ ছবিতে অভিনয় করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, যিশু সেনগুপ্ত,‌জয়া আহসানের মত অভিজ্ঞ তারকারা‌। যারা ছবিটি ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন তারা তো জানেনই যে, ছবিটি মূলত ২২ এ শ্রাবণ এবং ভিঞ্চি দা ছবির প্রিক্যুয়েল। আর কোনো ছবির প্রিক্যুয়েল করা যে কতটা কঠিন তা আর বলে বোঝানোর দরকার নেই। তবে সৃজিতের এই প্রচেষ্টা যে দর্শক ফেলে দেয়নি সেটা বক্স অফিস কালেকশন থেকেই স্পষ্ট।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর