বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডের আগামী প্রজন্ম হিসেবে যে মুখগুলো উঠে আসছে তাদের মধ্যে অন্যতম প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) পুত্র তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Trishanjit Chatterjee)। বাবা টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’। ছেলে এখনো পড়াশোনা সম্পূর্ণ করে উঠতে না পারলেও জনপ্রিয়তা কিন্তু বাবাকে ছুঁইছুঁই। হ্যান্ডসাম তৃষাণজিৎ ইতিমধ্যেই উচ্চতায় প্রসেনজিৎকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর খ্যাতি উত্তরোত্তর বাড়ছে।
অভিনেতা অভিনেত্রীদের ছেলেমেয়েরা সাধারণত বাবা মায়ের দেখানো পথে হেঁটেই পেশা বেছে নেয়। বলিউডে তো বটেই, টলিউডেও এমন উদাহরণ বড় কম নেই। তাই স্বাভাবিক ভাবেই অনেকে ধরে নিয়েছেন তৃষাণজিৎও প্রসেনজিতের মতো অভিনয় জগতেই আসবেন। কিন্তু তাঁর নিজের ইচ্ছা কী?
তৃষাণজিৎ এখন নিজের পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত। কেরিয়ার হিসেবে অভিনয়কে তিনি বেছে নেবেন কিনা তা নিয়ে এখনো কিছুই ভাবেননি তিনি, অন্তত তেমনটাই বক্তব্য তাঁর বাবা মায়ের। বরং তৃষাণজিতের ফুটবলে আগ্রহ ঢের বেশি। একথা আর কারোরই জানতে বাকি নেই যে প্রসেনজিৎ পুত্র আর্জেন্টিনা এবং মেসি ভক্ত। বিশ্বকাপজয়ী ফুটবল তারকাকে কার্যত ঈশ্বর জ্ঞানে পুজো করেন তিনি।
অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, পেশাদার ফুটবলার হতে চান তৃষাণজিৎ। বাবা মা অভিনেতা বলেই যে তাঁকেও এই জগতেই কেরিয়ার বানাতে হবে এমন কোনো মানে নেই। অভিনেত্রীর মতে, তরুণ প্রজন্ম এক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি পরিণত। জীবন থেকে ঠিক কী চাইছে তারা সে বিষয়ে তাদের ধারণা রয়েছে।
অন্যদিকে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, মিশুকের বয়স সবে মাত্র ১৮। এত তাড়াতাড়ি ছেলে অভিনয়ে আসুক সেটা তিনি চান না। আরো দু বছর যাক। তারপর এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবেন তিনি। তবে তৃষাণজিৎ যে তাঁর মতোই অভিনয়ে পা রাখবেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত প্রসেনজিৎ।
তাঁর কথায়, একটা আভাস তিনি দেখতে পাচ্ছেন তৃষাণজিতের মধ্যে। তিনি নাকি ছেলেকে বলে রেখেছেন তাঁর ডেবিউতে সব রকম সাহায্য করবেন। দেশের সব সিনে ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরাই প্রসেনজিৎকে শ্রদ্ধা করেন। সেই সুবিধাটা ছেলের জন্য অবশ্যই নেবেন তিনি, একথা জানিয়েই দিয়েছেন অভিনেতা। ছেলেকে অভিনেতা হওয়ার ট্রেনিং দেবেন তিনিই।