বাংলা হান্ট ডেস্কঃ JNU কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। বিজেপি বিরোধী সমস্ত দল গুলো JNU কাণ্ডের জন্য কেন্দ্রের মোদী সরকারকে দুষছে। আরেকদিকে আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি কোনরকম ভাবে ছাত্রদের কণ্ঠ রোধ হতে দেবেন না। উনি দেশের প্রতিটি ছাত্রদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
JNU কাণ্ড নিয়ে বিজেপিকে দুষে উনি বলেছিলেন, কেন্দ্র সরকার গোটা দেশে মানুষের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করছে। ছাত্র, ছাত্রীদেরও ছাড় দিচ্ছেনা। যারাই সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে তাঁদের বিরুদ্ধে কাজ করছে বিজেপি। গোটা দেশের ছাত্ররা আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। JNU তে হামলা হওয়া নিয়ে উনি বলেন, বিজেপি ফ্যাসিস্ট সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে। উনি দেশের সব পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরেকদিকে কিছুদিন আগে জামিয়া মিলিয়া ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে উনি দেশের প্রতিটি ছাত্রকে নাগরিকতা আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে বলেছিলেন। বিজেপির উপর আক্রমণ করে উনি আগাগোড়াই দেশের ছাত্র সমাজের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
West Bengal: Clash breaks out between Jadavpur University students and police personnel near Sulekha Mor in Kolkata, during protest against JNU violence pic.twitter.com/wPbMYzrP5Y
— ANI (@ANI) January 6, 2020
আর আজ JNU কাণ্ডের প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিবাদে নামলে, সেই ছাত্রদের উপরে লাঠিচার্জ করে মমতা পুলিশ। আজ যাদবপুরের পড়ুয়ারা ধিক্কার মিছিল নিয়ে কলকাতার সুলেখা মোড়ে যেতেই সেখানে তাঁদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ওই এলাকায় ততখন বিজেপির একটি মিছিল হচ্ছিল। দুটো মিছিলই সুলেখা মোড়ে পৌঁছানর পর পুলিশ বিজেপিকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে এলাকা ফাঁকা করার নির্দেশ দেয়। বিজেপির তরফ থেকে এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ার পর যাদবপুরের পড়ুয়াদের সাথে পুলিশের তর্ক বাধে, আর এরপর পড়ুয়াদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সকালে ছাত্রদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া, আর বিকেলে সেই পড়ুয়াদের মারধর করার পর মমতা ব্যানার্জীর নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।