বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত শুক্রবার শুরু হয়েছিল অশান্তি। দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ পার। লাগাতার হিংসা, অশান্তিতে কার্যত বিধ্বস্ত ‘নবাবের শহর’। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence) গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। শনিবার জেলা পরিদর্শনে বেরোন তিনি। জাফরাবাদে নিহত পিতা-পুত্র হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়ি যান রাজ্যপাল। এই সফরের মাঝেই আবার ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন স্থানীয়দের একাংশ।
রাজ্যপালের (Governor CV Ananda Bose) মুর্শিদাবাদ সফরের মাঝেই বিক্ষোভ!
জানা যাচ্ছে, এদিন জেলা পরিদর্শনে বেরিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল বোস। সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, সুতির মানুষরা তাঁকে সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে জানান। এই আবহেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান অনেকে। রাজ্যপাল এলাকায় এলেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়।
জানা যাচ্ছে, এদিন রাজ্যপালের জেলা পরিদর্শনের মাঝে বিক্ষোভ দেখান বেতবোনা গ্রামের (Betbona Village) বাসিন্দারা। অভিযোগ, এলাকার ওপর দিয়ে রাজ্যপালের গাড়ি গেলেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা নাকি রাজ্যপালের গাড়ি দাঁড়াতেই দেয়নি। এই নিয়ে তেতে ওঠে এলাকা। যদিও পুলিশ এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম-নির্দেশের পর ধোঁয়াশা! কারা মাইনে পাবেন, কারা পাবেন না? SSC কাণ্ডে সামনে বড় আপডেট
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাকিদের মতো তাঁরাও রাজ্যপালকে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে চেয়েছিলেন। লাগাতার হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। ওই অঞ্চলে স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প (BSF Camp) তৈরি করা হোক, দাবি তাঁদের। কিন্তু গাড়ি না দাঁড়ানোয় রাজ্যপালকে এসব কথা জানাতেই পারেনি বেতবোনাবাসী।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি, রাজ্যপাল কোথায় যাবেন, সেটা রাজভবন ঠিক করে দেয়। রাজ্যপালের গাড়ি যেখানে-সেখানে দাঁড়াতে পারে না, তিনি গাড়ি থেকে নেমে ওভাবে কথা বলতে পারেন না। পাল্টা বেতবোনা গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, কিছুক্ষণের জন্য রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করাই যেত। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে তদের বাধা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে তেতে ওঠে মুর্শিদাবাদ। সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ানে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান সেখানকার পরিস্থিতি কার্যত বিধ্বস্ত। এই আবহে জেলা পরিদর্শনে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। এবার তাঁর দেখা না পেয়েই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বেতবোনা গ্রামে বাসিন্দারা।