রথযাত্রার আগেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে ধুন্ধুমার! ভক্তদের সামনেই চলল তুমুল বিক্ষোভ

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে দিঘার জনপ্রিয়তা ছিল চিরকালই। এখন তাতে নতুন সংযোজন হয়েছে জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple)। গত অক্ষয় তৃতীয়ায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন নামছে দর্শনার্থীদের ঢল। সামনে আসছে রথযাত্রার উৎসবও। তার আগেই আচমকা ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) চত্বরে। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে হঠাৎ করেই মন্দিরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই বিক্ষোভ ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে (Digha Jagannath Temple) বিক্ষোভ স্থানীয়দের

উদ্বোধনের পর থেকেই জমজমাট দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple)। এর মাঝেই হঠাৎ বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিক্ষোভের কারণ হিসেবে জানা যায়, মন্দিরের সমস্ত কাজকর্মের জন্য বাইরে থেকে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় শ্রমিকরা। স্থানীয় কর্মী নিয়োগের দাবিতেই এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন স্থানীয়রা।

Protest shown in digha jagannath temple today

কী অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের: স্থানীয়দের অভিযোগ, মন্দিরের (Digha Jagannath Temple) সমস্ত কাজকর্মের জন্যই বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে। ঠিকাদার সংস্থাগুলিও অন্য জায়গা থেকে লোক নিয়ে আসছে। অথচ এই জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) তৈরির সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মন্দির তৈরি হলে স্থানীয়দের প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু তেমনটা কিছুই হচ্ছে না বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

আরো পড়ুন : বছর ঘুরতে চললেও TRP-র দেখা নেই, দর্শকদের বড় ধাক্কা দিয়ে বন্ধের মুখে জলসার সিরিয়াল!

ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ: এদিন বিক্ষোভ সামলাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় জগন্নাথ ধাম (Digha Jagannath Temple) ফাঁড়ি এবং দিঘা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশ কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অখিল গিরিও ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

আরো পড়ুন : ‘সিঁদুরের বদলা রক্ত’, আমেরিকায় অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করে পাকিস্তানকে বিঁধলেন থারুর

প্রসঙ্গত, এর আগে জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য রাধারমণ দাস বলেছিলেন, মন্দিরে হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হলে এলাকার আর্থ সামাজিক চিত্রটাই বদলে যাবে। স্থানীও লাভ হবে। হোটেল, পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের লাভ হবে। যারা ফুল মালা বিক্রি করেন তাদের লাভ হবে। তবে এখন বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বাইরের লোকেদের জন্যই কাজের সুযোগ হচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় মানুষ।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

X