বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আবদ্ধ তার দৈনন্দিন জীবনের কার্যকলাপ। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেল বড়সড়ো বিপত্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্ধপ্রদেশ সফরের সময় কেসরপল্লী এলাকায় তার হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে দেওয়া হল এক ঝাঁক কালো গ্যাস বেলুন। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী এদিন অন্ধপ্রদেশের গান্নাভরম বিমানবন্দর থেকে বিশেষ হেলিকপ্টারে করে বিজয়ওয়াড়ার দিকে রওনা দিয়েছিলেন। এই বেলুন ওড়ানোর অভিযোগের তির অবশ্য ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের উপর। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজন গ্রেফতার। তাঁরা এলাকায় কংগ্রেস কর্মী হিসেবেই পরিচিত।
সূত্রের খবর নরেন্দ্র মোদীর অন্ধপ্রদেশ সফরের সময় তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিক্ষোভ প্রদর্শন করা। আর সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর সময় স্থানীয় কংগ্রেসের কর্মীরা মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে শুরু করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তাদের হাতে মোদী বিরোধী একাধিক পোস্টার ব্যানারও ছিল। এরপরই তাদের মধ্যে উপস্থিত বেশ কয়েকজন কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের মধ্য থেকে গ্যাস বেলুন আকাশের দিকে উড়িয়ে দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
যদিও ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা এখনো পর্যন্ত যাচাই করা সম্ভব হয়নি তবে ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাদা জামা পরিহিত এক ব্যক্তি বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় এক ঝাঁক কালো রংয়ের গ্যাস বেলুন হাতে ধরে রেখেছেন। এরপরেই বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টারকে উড়ে যেতে দেখা যায়। আর হেলিকপ্টারগুলি তার ছাদের উপরে আসতেই ওই ব্যক্তি গ্যাস বেলুনের ঝাঁককে হেলিকপ্টারের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেন। শুধু তাই নয়, বেলুনের ঝাঁক কপ্টারের কাছাকাছি চলে যেতেই উল্লসিত হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। এমনকি হাসতে হাসতে হাততালিও দিতে থাকেন। এর পাশাপাশি আরো কয়েকজন ব্যক্তির মুখেও শোনা যায় “মোদী গো ব্যাক” স্লোগানও। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই মনে করা হচ্ছে, সেই হেলিকপ্টারগুলোর প্রধানমন্ত্রী এবং তার সুরক্ষা বাহিনীর কাপ্টার ছিল।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বা কোন ভিআইপির হেলিকপ্টার ওয়ার সময় সেই এলাকায় বেলুন ড্রোন ইত্যাদি ওড়ানো একেবারেই নিষিদ্ধ। এছাড়াও, কোন রাজ্যে সফরের সময় প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দানের দায়িত্ব বর্তায় সেই রাজ্যের পুলিশের উপর। ফলত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে নানান প্রশ্ন। যদিও প্রধানমন্ত্রীর কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি তবুও প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের ত্রুটির আশঙ্কা করছেন সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।