বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বাংলাদেশে (Bangladesh) গ্রেপ্তার হয়েছেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। তারপর থেকেই তাঁর মুক্তির দাবীতে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। চিন্ময়কৃষ্ণ দাস হলেন বাংলাদেশে (Bangladesh) সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখ। তাই তাঁর গ্রেপ্তারির পর থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন।
চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ (Bangladesh) হাইকমিশনার ঘেরাও শুভেন্দুর
বাংলাদেশের ইউনুস সরকার হিন্দু সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করার পর থেকে গত দুদিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই ওপার বাংলার সেই বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে কলকাতায় পথে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি। চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এই দাবি নিয়ে বুধবার শুভেন্দ্র অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির আট বিধায়ক বাংলাদেশ হাই কমিশনারের অফিস ঘেরাও করেছিলেন।
রবীন্দ্র সদন থেকে বেকবাগান পর্যন্ত বিজেপি বিধায়করা হাতে পোস্টার আর গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া হিন্দু সন্ন্যাসীকে অবিলম্বে মুক্তি না দেওয়া হলে এদিন বাংলাদেশের ভিসা বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। বাংলাদেশের ভিসা বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘প্রযোজনে ১ দিন অপেক্ষা করে ভিসা দফতরে যাব। কেন্দ্রকে বলব, এরকম চলতে থাকলে বাংলাদেশের ভিসা বন্ধ করে দিন। বাকিটা আমরা সীমান্তে বুঝে নেব।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার হিন্দু সন্ন্যাসী, বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ! কি প্রতিক্রিয়া দিলেন অভিষেক?
সেই সাথে সনাতনী সন্ন্যাসীকে সমস্থান করে এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, ‘উনি কোনও অন্যায় করেনি। মিথ্যে কেসে ফাঁসিয়েছে ইউনুসের তালিবান সরকার। তারই প্রতিবাদে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের অফিসে দাবি জানিয়ে গেলাম।’
বাংলাদেশের সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। বাংলাদেশ সরকার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তারপর বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত সরকার। যদিও ভারতের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে পড়শী দেশের তরফে জানানো হয়েছে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস কে তারা কোন সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয় গ্রেপ্তার করেছেন রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায়। তাই ভারতের তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করাই ভালো।