বাংলাহান্ট– ভারতীয় রাজনীতিতে বাংলার নাম বরাবরই এক অন্য পর্যায়ে এবং মাত্রায় দেখা গিয়েছে যেমন বামফ্রন্টের জ্যোতি বসু, সুভাষ চক্রবর্তী, অনিল বিশ্বাস থেকে শুরু করে বাংলার চাণক্য মুকুল রায় এবং তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও তাদের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু এখন ভারতীয় রাজনীতি থেকে বাংলা রাজনীতি সবটাতেই `পি কে`র নাম উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠছে। তবে তিনি সরাসরি রাজনীতি না করলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে তার নাম সবসময়ই রাজনেতাদের মুখে এবং খবরের শিরোনামে। `প্রশান্ত কিশোর` বাংলার রাজনীতিতে প্রবেশ করার পর থেকেই অন্তহীন জল্পনা চলছে কেউ তাকে `পলিটিকাল গুরু` কেউবা `ভোটগুরু` বলছেন। এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত `পি কে`র সাথে পরামর্শ করেই এগোচ্ছেন। তা `পুরভোট` হোক বা `দিদিকে বল` কর্মসূচি সবটার মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন `প্রশান্ত কিশোর`।
তবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে `পি কে` এখনো অপরীক্ষিত – এমনটাই দাবি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের তবে সে দিক দিয়ে ব্যাখ্যা করলে পিকের জবাব দেওয়ার আলাদা একটি জায়গা তৈরি রয়েছে, কারণ ভারতীয় রাজনীতিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধী, যোগী আদিত্যনাথ, চন্দ্রবাবু নাইডু এমনকি নীতীশ কুমার থেকে শুরু করে অনেক শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে `পি কে`র।
মঙ্গলবার তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে ঠিক হয়েছে পুরভোটের ১০৭ টি পৌরসভা নির্বাচনের প্রত্যেকটি পৌরসভার পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকবে `পি কে`র টিম। তবে সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগেই ২০২০ সালের পৌরসভা নির্বাচন, `পি কে`র অগ্নিপরীক্ষা সেখানে হয়ে যাবে।
বাংলার রাজনীতিতে `পি কে`র অগ্নিপরীক্ষা যদিও একবার সম্পূর্ণ হয়েছে তাহলে `দিদিকে বল` কর্মসূচি, কারণ তৃণমূলের অন্দরে কিন্তু অসন্তোষ ভর্তি তাই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল এর পরে সেই অসন্তোষের আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে ছিল।
তারপরেই `কাটমানি`র কাহিনী বাংলা থেকে সারা ভারতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মানুষ আবার দিদিকে বিশ্বাস করে বলতে শুরু করেছে, তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা, এবং এই কথা বলার মাধ্যম হল `পি কে`র মাস্টারমাইন্ড প্ল্যান `দিদিকে বল` কর্মসূচি।
মঙ্গলবার `দিদিকে বল` কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বের সূচনা করল তৃণমূল। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রথম পর্যায়ের ব্যতিক্রম নয়।
তবে এখন পুরো ভোট নিয়ে `পি কে`র টিমের প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে রীতিমত প্রত্যেকটি পৌরসভা ও পৌর প্রতিনিধিদের প্রতি মানুষের সুযোগ সুবিধা থেকে শুরু করে অসুবিধা ও অসন্তোষ এর ঠিকানা সাধারণ মানুষের মনে কোন পর্যায়ে দুর্নীতির বীজ বুনেছে তা খতিয়ে দেখছে। এখন দেখার ২০২১ সালে শাসক দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ২০২০ সালের পৌরসভা নির্বাচনে মানুষের অসন্তোষের আগুন কতটা নিভাতে পারে `পি কে`র মাস্টারমাইন্ড বুদ্ধি।