পাবজিতেই বেশি আগ্রহী ছোটরা, মাথায় হাত ঘুড়ি বিক্রেতাদের

বাংলাহান্ট– আগামীকাল শুরু বিশ্বকর্মা পুজো। প্রতিবারের মতোই শহর ও শহরতলির ব্যবসায়ীরা রঙ-বেরঙের ঘুড়ি সাজিয়ে বসেছেন। কিন্তু এবারের বিশ্বকর্মা পূজা যেন কিছুটা মলিন হয়ে গেছে। ঘুড়ি বিক্রেতারা দুঃখ করে বলছেন, পাবজির যুগে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা ঘুড়ি-লাটাইকে। ‘ভোকাট্টা’র থেকে ‘চিকেন ডিনারে’ই বেশি খুশি জেন-ওয়াই। গত কয়েক বছরের থেকে অনেকটাই কমেছে বিক্রি। আগের মতো আর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ঘুড়িতে ভরে উঠবে না আকাশ বা চলবে না ঘুড়ির লড়াই।

তবে শহরে একাংশের মধ্যে এখনও রয়েছে ঘুড়ি ওড়ানো অভ্যাস।কার ঘুড়ি আগে পড়বে তাই নিয়ে আছে উত্তেজনাও। শহরতলীর দিকেও স্মার্টফোনের প্রভাবে হারিয়ে যায়নি পেটকাটি-চাঁদিয়াল। তবে আগের তুলনায় তাদের পছন্দ বদল এসেছে অনেকটাই। নিজে হাতে মাঞ্জা দেওয়ার ঝক্কি নিতে নারাজ এখনকার কেউ।
সুতোর ক্ষেত্রে ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ চিনা রেডিমেড নাইলন সুতো।  প্রায় প্রতিটি দোকানেই বিক্রি হচ্ছে রংবেরঙের ছোট ছোট রিল।
কিন্তু নাইলনের সুতো বিপদজনক নয় কি? বিক্রেতাদের বক্তব্য, নাইলন সুতো বিক্রির ব্যাপারে সরকার যে বিধিনিষেধ জারি করেছেন তাঁরা আগে শুনেছেন। কিন্তু সেভাবে কেউই এই নিয়ম মানেন না।  তাছাড়া ক্রেতারাও নাইলন সুতোই বেশি পছন্দ করছেন। দামও কম। অনেক বেশি শক্তও।

IMG 20190917 WA0222
ঘুড়ির ক্ষেত্রেও বেড়েছে প্রকারভেদ। প্লাস্টিকের প্রিন্টেড ঘুড়ির চাহিদা বেশি এখন কাগজের পেটকাটি চাঁদিয়ালের বদলে।আর নতুন নতুন ডিজাইনের ঘুড়ি নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা দোকানে, ক্রেতা বাড়ানোর আসায়।

Udayan Biswas

সম্পর্কিত খবর