বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেধড়ক মার খেলেন এক মুসলিম যুবক। তাঁর ‘অপরাধ’ তিনি এক হিন্দু নাবালিকার সঙ্গে হেঁটেছিলেন। গতকাল শুক্রবার পুলিস জানায়, ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ম্যাঙ্গালুরু (Mangaluru)জেলাসদর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে কুক্কে সুব্রামন্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা ল্লুগুন্ডির বাসিন্দা আফিদ (২০) বৃহস্পতিবার এক নাবালিকাকে নিয়ে কুক্কে সুব্রামন্য মন্দিরে আসেন। পুলিস সূত্রে খবর, সুলিয়ার কাছে কা এক নদীর পাড় ধরে যাচ্ছিলেন তাঁরা দুজন। তখনই তাঁদের আটকানো হয়। এরপর আফিদকে মারধর করা হয় বলে জানা যায়।
পুলিস জানায়, ‘ভিনধর্মী যুবক ও ওই নাবালিকাকে একসঙ্গে হাঁটতে দেখে তাঁদের আটকায় স্থানীয় একদল যুবক। কুমারধারা নদীর পাড় দিয়ে যাচ্ছিল সেই দুজন। তখনই তাদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে স্থানীয়রা। যখন তারা জানতে পারে যে ছেলে এবং মেয়েটি ভিন্ন সম্প্রদায়ের, তখন তারা তাদের মারধর করে বলে।’ পুলিস কর্তারা জানান আফিদ সুলিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুব্রামান্য পুলিশের কাছে এই ঘটনার ভিত্তিতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ (হামলা), ৩২৪, ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) এবং ৩৬৫ (অপহরণ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে এরই মধ্যে নাবালিকার বাবা উলটে আফিদের নামেই অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর মেয়ে যখন বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল, তখন আফিদ তাকে উত্তক্ত করা শুরু করে। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, আফিদ তাঁর মেয়েকে অনুসরণ করে এবং জোর করে তার ফোন নম্বর চায়।
আফিদের বিরুদ্ধে ভারতী দণ্ডবিধির ধারা নং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং ৩৫৪ (বি) (যৌন নিপীড়ন) এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের ১২ (যৌন আক্রমণ) ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়৷ অথচ পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আফিদ সেই নাবালিকার সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে কথা বলেন। এবং সেখান থেকেই তাদের পরিচয়। সুতরাং দুজনেই পূর্বপরিচিত।