বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য সরকারের (State Government) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ। জনগণের স্বার্থে পাঠানো কেন্দ্রের (Central) টাকা লুঠ করেছে রাজ্য! প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসাব দিতে পারছে না মমতা সরকার, অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে। সেইমত সমস্ত হিসেব দিয়ে ক্যাগের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা (Public Interest Case)।
কী জানা যাচ্ছে? ২০২১ সালের ৩১ মার্চ ক্যাগের (কম্পট্রোলার এবং অডিট জেনারেল)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী কিছু অসঙ্গতির হদিস মিলেছে রাজ্যের ক্ষেত্রে। বাংলার মানুষের জন্য পাঠানো কেন্দ্রের টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার! এই অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা, পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের আবেদনও জানানো হয়েছে বলে খবর মিলেছে। আদালত সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা সাংবাদিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, আইনজীবী সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ঋত্বিক পাল। ক্যাগ এর রিপোর্ট অনুযায়ী আদালতে পেশ করা হিসেবে দাবি করা হয়েছে, গত কয়েকটি অর্থবর্ষে মিলিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ কেন্দ্রের কাছ থেকে যে অর্থ রাজ্য সরকার পেয়েছে তার মধ্যে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯৯ কোটি টাকার হিসাব জমা দেয়নি রাজ্য।
আরও অভিযোগ, এই হিসাব না দেওয়ার টাকার মধ্যে পুরসভা এবং নগরোন্নয়ন দফতরের ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি রয়েছে। কেন্দ্র তরফে পাঠানো পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থের ক্ষেত্রে ৮১ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকার হিসাব দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে হিসাব না দেওয়া অর্থের পরিমাণ বলা হয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। কিভাবে, কোন খাতে এই বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তার কোনো হিসেবে মমতার সরকার দেয়নি বলে বলেই অভিযোগ।
মামলাকারীদের তরফে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই বা কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে। এর আগে বহুবার সরকারি খাতের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার ঠিক সেই একই অভিযোগেই মামলা পৌঁছাল হাই কোর্টে।