বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর থেকে একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছে বেআইনি নির্মাণ। বহুবার সেই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। তবে এবার বেআইনি ইটভাটা ভাঙতে চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন গ্রামবাসীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলি ব্লকের জালাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ইটভাটা (Illegal Brick Kiln) আছে। সেগুলির কারণে এলাকার চাষের জমির ক্ষতি হচ্ছে, অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা।
তাঁদের দাবি, বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই সকল অবৈধ ইটভাটা (Brick Kiln) চালান। এর ফলে স্থানীয় মানুষরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। চাষের জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ এনে কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন গ্রামবাসীরা। এই সপ্তাহে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
কুলতলি ব্লকের জালাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে যে ইটভাটাগুলি রয়েছে এর ফলে ওই এলাকার চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এমনকি এগুলি পরিবেশের জন্যেও ক্ষতিকারক, এই দাবি এনে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন সনাতন মণ্ডল নামের ওই অঞ্চলের একজন বাসিন্দা। ওই ইটভাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সনাতন।
আরও পড়ুনঃ হিন্দুরা ‘হিংসাশ্রয়ী’? রাহুলের এক মন্তব্যে উত্তাল লোকসভা, পাল্টা ধুয়ে দিলেন মোদী-শাহ!
জানা যাচ্ছে, এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্তার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন। সনাতন বলেন, ওই অবৈধ ইটভাটার সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের যোগসূত্র থাকার কারণে নানান জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও কাজের কাজ হচ্ছে না।
পঞ্চায়েত প্রধানের অফিস, জেলাশাসনের কাছে ‘কমপ্লেন’ করেও কিস্যু হয়নি। শেষ অবধি তাই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। গ্রামের মানুষদের স্বার্থে ওই অবিধ ইটভাটা বন্ধ করা হোক, আর্জি মামলাকারীর। চলতি সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর।
উল্লেখ্য, রূপনারায়ণ নদের চরে ইটভাটা বন্ধের দাবি জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। ২০২৩ সালে ওই মামলা শুনানিতে রাজ্যের সকল নদীর পারে গড়ে ওঠা ইটভাটা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। এবার এই মামলার শুনানিতে কী হয় সেটাই দেখার।