বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো ভরসা করেন সরকারি প্রকল্পের উপর। সরকারি স্কিমে টাকা গচ্ছিত রাখা মানে নিশ্চিত রিটার্নের গ্যারেন্টি। এছাড়াও সরকারি প্রকল্পে খুব কম টাকা দিয়েও বিনিয়োগ করা যায়। সুরক্ষার পাশাপাশি থাকে মোটা রিটার্ন। আজ আমরা কথা বলব তেমনই একটি স্কিম সম্পর্কে।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ (Public Provident Fund) স্কিম
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ (Public Provident Fund) বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি স্কিম। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ (PPF) অ্যাকাউন্ট খোলা যায় সরকারি ব্যাংক কিংবা পোস্ট অফিসে। বর্তমানে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে মিলছে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ। পিপিফ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য দরকার হয় মাত্র ৫০০ টাকা।
আরোও পড়ুন : সুখবর! এবার প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ দিচ্ছে রেল, ১১,৫৫৮ টি শূন্যপদ; কিভাবে অ্যাপ্লাই করবেন ?
একটি আর্থিক বছরে মাত্র ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করলেই চালু রাখা যায় পিপিএফ অ্যাকাউন্ট। বিনিয়োগকারীরা একটি আর্থিক বছরে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন পিপিএফে। পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ ১৫ বছর হয়ে থাকে। এই সময়সীমার পর বিনিয়োগকারী তুলতে পারেন ম্যাচিউরিটির টাকা।
১৫ বছর পর ৫ বছর করে দুবার বৃদ্ধি করা যায় এই অ্যাকাউন্টের মেয়াদ। EEE ক্যাটেগরির আওতায় থাকায় পিপিএফ অ্যাকাউন্ট (Public Provident Fund) করমুক্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ গ্রাহকরা এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সুদ বাবদ যে টাকা আয় করেন তার জন্য সরকারকে কোনও রকম ট্যাক্স দিতে হয় না।
নামমাত্র টাকা বিনিয়োগ করে লাখপতি হওয়ার সুযোগ মেলে। যদি কোনও ব্যক্তি প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করেন তাহলে ১৫ বছর পর ৭.১% সুদের হারে ফেরত পাবেন ১.৬৩ লাখ টাকা। একইভাবে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করলে ১৫ বছর পর রিটার্ন মিলবে ৩.২৫ লাখ টাকা।