বাংলাহান্ট ডেস্ক : লোকনাথ ব্রহ্মচারী। নামটাই যথেষ্ট। বিপদের সময়ে একমাত্র ভরসা তিনি। জন্মাষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী। তিথি অনুযায়ী আজ বাবা লোকনাথের জন্মদিবস। ১১৩৭ বঙ্গাব্দ বা ইংরেজি ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন যশোহর জেলা আর বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বারাসত মহকুমার চৌরশী চাকলা গ্রামে ভূমিষ্ঠ হন।
রামনারায়ণ ও কমলাদেবীর এই চতুর্থ সন্তানকে মহাদেবের অবতার বলেই মনে করা হয়। লোকনাথ বাবাকে অনেকেই বলতেন শিব লোকনাথ। কথিত আছে, একবার গুরু ভগবান গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে হিমালয়ে তপস্যা করছিলেন বাবা লোকনাথ। সেইসময় পাহাড়ের গা বেয়ে ভোরের কাঁচা রোদ এসে পড়েছে বাবা লোকনাথের সিদ্ধাসনে।
আরোও পড়ুন : ‘মার্ডার করা হয়’! সঙ্গে লেখা নাম, ফোন নং! ‘বুলেট রাজা’র ভিজিটিং কার্ড ভাইরাল হতেই যা হল….
বরফের গুহার ভিতর থেকে গুরু ভগবান গঙ্গোপধ্যায় উঁকি দিয়ে দেখলেন সিদ্ধাসনে লোকনাথ বাবা নেই, সেখানে বসে আছেন দেবাদিদেব মহাদেব। গুরুদেব বুঝলেন, বাবা লোকনাথ সে দিন সিদ্ধিলাভ করেছেন। তিনি গুরু হয়েও প্রণাম করলেন শিবকল্প মহাযোগী বাবা লোকনাথকে।
আরোও পড়ুন : দলবদলানোর জন্যই কী অপরাধী! শুভেন্দুর রক্ষাকবচ মামলায় আদালতে প্রশ্নের মুখে রাজ্য
আর এরপর থেকে লোকমুখে প্রচার হয় শিব লোকনাথের কথা। সরল সাদাসিদে জীবন যাপন করতেন বাবা লোকনাথ। তাঁর সব ভক্তদেরই তিনি সমান চোখে দেখতেন, সবাইকেই বুকে টেনে নিতেন। আর আজ জন্মদিনকে উদযাপন করার পাশাপাশি লোকনাথ বাবাকে খুশি করে তাঁর আশীর্বাদ লাভ করার কয়েকটি সহজ উপায় নিয়ে আলোচনা করা যাক।
নীল শাপলা বা নীল শালুক এবং যে কোনও সাদা ফুল দিয়ে লোকনাথ বাবার পুজো করুন। যেহেতু, বাবা লোকনাথকে শিবের অবতার মনে করা হয়, তাই তাঁর পুজোয় বেলপাতা অবশ্যই দিতে হবে। তালশাঁস ও কালোজামের নৈবেদ্য দিলে প্রসন্ন হন লোকনাথ বাবা। তার সঙ্গে মিছরি, তালমিছরি লোকনাথ বাবাকে নিবেদন করুন। পুজোর পরে এই প্রসাদ অবশ্যই কোনও বাচ্চাকে খাইয়ে দিন।