বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত এপ্রিল মাস থেকে কমবেশি প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীই (Government Employees) বেশ চাপে রয়েছেন। বিগত প্রায় দেড় মাস ধরে ভোটের কাজ করতে হয়েছে তাঁদের। ৪ জুন তথা মঙ্গলবার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা। আগামীকাল নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের সঙ্গেই সাঙ্গ হবে এই বছরের লোকসভা ভোট। তবে নির্বাচন শেষের আগেই সরকারি কর্মচারীদের জন্য এসে গেল একটি বিরাট সুখবর। হাই কোর্টের এক রায়ে মুখে হাসি ফুটেছে একাধিক সরকারি কর্মচারীর।
সম্প্রতি পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের (Punjab and Haryana High Court) তরফ থেকে সরকারি কর্মীদের পক্ষে একটি বিরাট রায় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, চণ্ডীগড় প্রশাসনের যে সকল কর্মচারীরা ২০০৮ সালের স্ব-অর্থায়ন কর্মচারী আবাসন প্রকল্পের জন্য অ্যাপ্লাই করেছিলেন, তাঁরা সেই বছরের ব্রোশিওরে যে হারের উল্লেখ রয়েছে, সেই হারেই ফ্ল্যাট পাবেন। সম্প্রতি আদালতের তরফ থেকে এমনটাই রায় দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সিনিয়র আইনজীবী অনুপম গুপ্তা, যিনি মামলার অন্যতম কৌঁসুলিও ছিলেন, তিনি বলেন, বিচারপতি ললিত বাত্রা এবং বিচারপতি সুরেশ্বর ঠাকুরের বেঞ্চ সরকারি কর্মচারীদের আর্জি মঞ্জুর করেছেন। আদালত জানিয়েছেন, চণ্ডীগড় প্রশাসনের কর্মচারী, যারা স্ব-অর্থায়ন কর্মচারী আবাসন প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁরা ২০০৮ সালের দরেই ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবমাননা! আরও বিপদ বাড়বে SSC-র ২৬০০০ শিক্ষকের? চিন্তায় সকলে
উল্লেখ্য, উক্ত প্রকল্পে আবাসন নেওয়ার জন্য ২০১০ সালে একটি লটারি ড্রয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রায় ৮,০০০ সরকারি কর্মচারী অংশ নেন। এর মধ্যে ৩,৯৩০ জন ফ্ল্যাট পাওয়ার জন্য নির্বাচিত হন। এই প্রকল্পের অধীন সিএইচবিতে তাঁরা প্রায় ৫৭ কোটি টাকা জমা করেন। প্রশাসন অবশ্য এই উদ্দেশ্যে জমি সরবরাহ করতে ব্যরথ হয়। যে কারণে কয়েক বছর ধরে এই প্রকল্প আটকে ছিল। এরপর ২০১৩ সালে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের দাবি ছিল, ২০০৮ সালে যে হারে ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই একই দামে ফ্ল্যাট দিতে হবে।
২০০৮ সালে এই প্রকল্প যখন চালু হয়, সেই সময় ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাটের দাম ছিল ৩৪.৭০ লাখ টাকা, ২ বিএইচকে এবং ১ বিএইচকের মূল্য ছিল যথাক্রমে ২৪.৩০ লাখ টাকা এবং ১৩.৫৩ লাখ টাকা। বর্তমানে এর মূল্য অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩ বিএইচকে এবং ২ বিএইচকে ফ্ল্যাটের মূল্য কোটি টাকার গণ্ডি টপকে গিয়েছে। তবে আদালতের রায়ে সুরাহা হল সরকারি কর্মচারীদের।