বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ব্যর্থ হয়ে গেল শিমরণ হেটমায়ার (Shimron Hetmyre) ও ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার ধ্রুব জোরেলের (Dhruv Jorel) লড়াই। আসামের বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে শেষ ওভার অবধি লড়াই চলার পর ৫ রানের ব্যবধানে জয় পেলো পাঞ্জাব কিংস (Punjab Kings)। হবে রাজস্থান যেভাবে লড়াই করেছে গোটা ম্যাচে তাতে তাদের এই হারে বিন্দুমাত্র লজ্জার কিছু নেই। আজ টসে জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। পাঞ্জাবের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নামেন শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan) এবং প্রভসিমরণ সিং (Prabhsimran Singh)। চতুর্থ ওভার থেকে মারাত্মক আক্রমণ শুরু করেন এই তরুণ ক্রিকেটার। অপরদিকে শিখর ধাওয়ান শুধুমাত্র নিজের উইকেট বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৬০ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন প্রভসিমরণ।
তিনি জেসন হোল্ডারের শিকার হয়ে ফিরলে প্রথমদিকে নিজেকে গুটিয়ে রাখার শিখর ধাওয়ান হাত খোলেন। তিনি এতটাই আগ্রাসী হয়ে উঠেছিলেন যে তার শট তার দলের শ্রীলঙ্কান তারকা ভানুকা রাজাপক্ষকেই জখম করে এবং তিনি রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর জিতেশ শর্মার সঙ্গে একটি দ্রুতগতির পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন ধাওয়ান। নিজের চার ওভারে ৫০ রান দিলেও শেষ পর্যন্ত ২৬ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে জিতেশকে ড্রেসিংরুমে ফেরাতে সক্ষম হন চাহাল। কৃপণ বোলিং করে মাত্র ২৫ রান দিয়ে জিম্বাবোয়ের তারকা ক্রিকেটার সিকান্দার রাজাকে আউট করেন অশ্বিন।
কিন্তু ধাওয়ানকে থামানো যায়নি। ৫৬ বলে ৮৬ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলে তিনি দলকে পৌঁছে দেন ১৯৭ অবধি। শেষ ওভারে জেসন হোল্ডার দুর্দান্ত বোলিং না করলে ২০০ রানের গন্ডিও পেরিয়ে যেতে পারতো পাঞ্জাব। আজ তৃতীয় ক্রিকেটার ও দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে আইপিএলে ৫০ বা তার বেশি অর্ধশতরানের গণ্ডি পেরোনোর রেকর্ড গড়লেন তিনি। রাজস্থানের হয়ে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হোল্ডার।
এরপর রান তারা করতে নেমে জস বাটলারকে ওপেন করতে নামাতে পারেনি রাজস্থান। ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙ্গুলের একটু চোট পেয়েছিলেন তিনি। তার বদলে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন অশ্বিন। ভালো শুরু করেও ১১ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে অর্শদীপের শিকার হন যশস্বী। রানের খাতা না খুলেই বাঁ-হাতি পাঞ্জাব পেসারের শিকার হয়ে ফিরে যান অশ্বিন।
কিন্তু এরপর পাঞ্জাবের বোলিংকে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলার। তাদের ব্যাটিং দেখে এক সময় মনে হচ্ছিলো যে ২০০ রানের বেশি না করতে পারায় ভুগতে হবে পাঞ্জাবকে। কিন্তু সঞ্জু (৪২) ও বাটলার (১৯) সহ মিডল অর্ডারে ৪ জনকে ফিরিয়ে ম্যাচ পাঞ্জাবের দিকে ঢলিয়ে দিয়েছিলেন অজি পেসার ন্যাথান ইলেশ।
কিন্তু সেখান থেকে স্থানের ক্যারিবিয়ান ব্যাটার হেটমায়ার (৩৬) এবং ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে আসা ধ্রুব জোরেল (৩২*) ম্যাচ প্রায় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু গোটা ম্যাচে জঘন্য বোলিং করা ২০২২ বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার স্যাম ক্যারেন শেষ ওভারে নিজের স্নায়ুর ওপর অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ রেখে পরিকল্পনা মাফিক বোলিং করে ম্যাচ পাঞ্জাবের ঝুলিতে এনে দেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯২ রানের বেশি তুলতে পারেনি রাজস্থান।