বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) রীতিমতো নাটক চলছে ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) চেয়ারম্যান (Chairman) পদকে কেন্দ্র করে। এর আগে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে জয়লাভ করে কংগ্রেস (Congress)। তারপর সরিয়ে দেওয়া হয় শিলা চট্টোপাধ্যায়কে। এরপর গতকাল পুরুলিয়ার মহকুমা শাসক নির্দেশিকা জারি করে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করেছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলায় মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের (State Government)।
বিচারপতি অমৃত সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। সেই শুনানিতে তৃণমূলের সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি পর্যবেক্ষণে বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে ঝালদায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচন হয় গত ১৬ ই জানুয়ারি। সেই নির্বাচনে ৭-০ ব্যবধানে যেতেন কংগ্রেস প্রার্থী শিলা চট্টোপাধ্যায়। তবে বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত পুর প্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপথ ঝালদার মহকুমাশাসক খারিজ করে দেন। পুর ভোটের ফল প্রকাশের সময় দেখা গিয়েছিল ত্রিশঙ্কু হয়েছে ঝালদা পুরসভা। এরপর খুন হয়ে যান কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এরপর নির্দলের সমর্থন নিয়ে পুর বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। তৃণমূলের সুরেশ আগরওয়াল হন চেয়ারম্যান। পরে রাজ্য সরকার প্রশাসক নিয়োগ করে। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস।
এদিকে, হাইকোর্টের তরফে ঘোষণার পরেই সাংবাদিকদের পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাচ্ছি মহামান্য আদালতকে। প্রথম থেকে বাধা তৈরি করছে শাসক। আদালতের রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। ঝালদার মানুষও শুরু থেকে আমাদের সঙ্গে আছেন।’ পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, একটা পুরসভা দখল নিয়ে যে এইরকম চলতে পারে তা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় দেখা যায়নি। তাঁদের বক্তব্য, ক্ষমতা দখলের যে লড়াইয়ের কথা আদালত বলেছে তা যথার্থই।