বাংলাহান্ট ডেস্ক : তিনি তৃণমূলের (Trinamool Congress) সদস্যা। বেশ মন দিয়েই নিজের সংসার এবং রাজনৈতিক দল দুইই মন দিয়ে চালাচ্ছিলেন তিনি। ভালোমন্দ মিলিয়ে সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে চলছিল তাঁর। কিন্তু কী এমন হলো যে হঠাৎ চাকরি গেলো তাঁর। বর্তমান থেকে প্রাক্তন সদস্য হয়ে গেলেন। হাইকোর্টের (Calcutta High court) আদেশে চাকরি হারালেন তিনি। কথা হচ্ছে, পূর্ণিমা নন্দীকে নিয়ে।
এখন প্রশ্ন হল, কেন গেলো তাঁর চাকরি? কী জন্য ঘনিয়ে এলো পূর্ণিমার জীবনে এমন অমাবস্যার অন্ধকার? হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গেছে এই রকম আরও ১৯১১ জনের। কারণ তাঁরা সকলেই ছিলেন অবৈধ, পুরো স্পষ্ট করে জানিয়েছে হাইকোর্ট। সেখানেই ১৫৪০ নম্বরে ছিল তাঁর নাম।
পূর্ণিমা ওন্দার ভুলনপুর হাইস্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
তাঁকে যখন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানানো হয় তাঁর কী প্রতিক্রিয়া এই ব্যাপারে? তিনি জানান যে এই চাকরি যাওয়ায় তিনি শোকাহত। তিনি ভাবতেই পারেননি এভাবে তাঁর চাকরি চলে যেতে পারে বলে। তিনি আরও জানান যে হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁর চাকরি গেছে। তিনি যখন স্কুলে কাজ করতে ঢোকেন তাঁকে সোজাসুজি বলা হয় যে, তাঁকে আর সেখানে দরকার নেই, তাঁর কাজ চলে গেছে।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে আরও বলেন যে, তাঁর একমাত্র মেয়েকে তিনি বাঁকুড়া শহরে পড়াশোনা করাচ্ছেন। কতো স্বপ্ন ছিল তাঁর মেয়েটি বড় হবে। কিন্তু এখন কী করবেন তিনি? কোথায় যাবেন? তিনি আরও জানান যে, হাইকোর্ট হয়তো বলছে তাঁরা অবৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছেন, কিন্তু আসলে তা নয়। তিনি পরীক্ষা দিয়ে যথেষ্ট যোগ্যতার সাথে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি তাঁর পরীক্ষা দেওয়ার বিভিন্ন অভিজ্ঞতাও তিনি স্বীকার করে নেন।