বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে লোকসভা ভোট নিয়ে সরগরম গোটা দেশ। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চলছে। এর মাঝেই গ্রেফতার হলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী। চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনিতেই সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বিতর্কে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতা-কর্মীদের। ভোটের আগে এই ঘটনার তৃণমূল (TMC) শিবিরের অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে অনুমান।
সম্প্রতি জয়পুর থানা এলাকা নিবাসী শিশির রায় পুরুলিয়া (Purulia) সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুরুলিয়া নিবাসী বর্ণালী দত্ত এবং জয়পুর থানা এলাকা নিবাসী বিকাশ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী ববির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শিশিরের অভিযোগ, আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে তাঁর থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
এদিকে টাকা দেওয়ার পরেও নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়ায় সন্দেহ হয় শিশিরদের। এরপর টাকা ফেরত চাইতেই নানান টালবাহানা শুরু করেন তৃণমূল নেত্রী সহ দুই অভিযুক্ত। তখনই শিশিররা বুঝতে পারেন তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। এরপর পুরুলিয়া সদর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুনঃ ভূপতিনগর কাণ্ডে মুখ পুড়ল রাজ্য পুলিশের! হাইকোর্টে বড় জয় BJP-র
শিশিরের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতেও তৃণমূলের জেলা সম্পাদিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই অভিযুক্ত এখনও অধরা। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল এই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালে রাবকাটা গ্রাম নিবাসী অনিরুদ্ধ গড়াই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরির পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাবকাটা নিবাসী যুবকের থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এবার আইসিডিএসে চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, একটা সময় দলের অংশ হলেও এখন সেই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই। কেউ দুর্নীতি করলে দল তাঁর পাশে দাঁড়াবেন না বলেও জানান সৌমেন।