বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউক্রেন হামলার ফলে রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভাবে বয়কট এবং নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বহু রাষ্ট্রই। এবার এহেন চাপের মধ্যে পড়ে সুর নরম করতে বাধ্য হলেন পুতিন। তিনি জানালেন কুটনৈতিক আলোচনার জন্য তিনি রাজি থাকলেও রাশিয়ার স্বার্থকে আপোস করবেন না কোনও মতেই।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। এর মধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দেশটির প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে একাধিক দেশ। অর্থনৈতিক এই চাপের মুখেই অবশেষে মাথা ঝোঁকালো পুতিনের সরকার। যদিও রাশিয়ান নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য আলোচনায় বসলেও তাতে কোনও আপোস না করার শর্তই রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ারই অংশ ছিল, এবং রাশিয়া তার দাবিতে অটল। হামলার সম্ভাবনাকে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়ে ডটেনস্ক এবং লুহানস্ক শহরের স্বীকৃতি রক্ষা করতেও দেখা গেছে তাঁকে।
বিশ্বের একাধিক দেশ চাপ বাড়িয়েছে রাশিয়ার উপর। গত ২৪ ঘন্টায় আমেরিকা ছাড়াও ব্রিটেন, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানি রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কানাডা রাশিয়ান ব্যাঙ্ক এবং অস্ট্রেলিয়া পুতিনের শীর্ষ উপদেষ্টাদের নিষিদ্ধ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এই হামলাও প্রকাশ করেছেন যে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ চালাতে পারে রাশিয়া। একই সঙ্গে আমেরিকার দাবি আগামী ৯৬ ঘন্টায় কিয়েভের দখল নেবে রুশ সেনা।
একই সঙ্গে রাশিয়ান ঘাতকদের উপর ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউক্রেন সরকারও। ইউক্রেনের লোকসভায় বুধবার একটি খসড়া পাশ করা হয় যেখানে ডনস্ক এবং লুহানস্ক কে প্রজাতন্ত্র বলে স্বীকৃত দেওয়া রাশিয়ান আধিকারিকদের দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। একই সঙ্গে ওই আধিকারিকদের সমস্ত সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
ইউক্রেন ইস্যুতে এখনও কোনও স্পষ্ট পক্ষ বেছে নেয়নি ভারত। ইউক্রেনের আবেদনের পর নরেন্দ্র মোদী গতক্লা দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন পুতিনের সঙ্গে। তবে এই শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থায় কোন পক্ষ বাছবে ভারত, সে উত্তর সময়ই দেবে।