বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে ক্রমশ তৈরি হওয়া যুদ্ধের আবহ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল সব মহলে। কিন্তু, এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সকালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
যদিও যুদ্ধের আশঙ্কায় আগে ভাগেই ধাক্কা খেয়েছিল শেয়ার বাজার। তবে, বৃহস্পতিবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই একপ্রকার ভেঙে পড়ে তা। সেনসেক্স প্রায় ১৩ শতাধিক পয়েন্টের বিশাল পতনের সাথে ব্যবসা শুরু করেছে।
এদিকে, প্রি-ওপেন সেশনেই বাজার জানিয়ে দিচ্ছিল যে, আজ ব্যাপক বিক্রি-অফ হতে চলেছে। পাশাপাশি প্রি-ওপেন সেশনে বিএসই সেনসেক্স ১,৮০০ পয়েন্ট বা ৩.১৫ শতাংশেরও বেশি নিচে ছিল। এছাড়াও, NSE নিফটিও ৫০০-রও বেশি পয়েন্টের লোকসানের মধ্যে ছিল।
পাশাপাশি, বাজার খোলার সাথে সাথে সেনসেক্স ১৩ শতাধিক পয়েন্টের পতনের মধ্যে রয়েছে। সকালে বাজার খোলার পর দেখা যায়, সেনসেক্স প্রায় ৫৫,৭৫০ পয়েন্টের আশেপাশে লেনদেন করছিল। অপরদিকে, নিফটি ৩৫০ পয়েন্টের বেশি পড়ে ১৬,৭০০-র নিচে নেমে এসেছে।
এদিকে, বাজারে ক্রমাগত পতন জারিই রয়েছে। এর আগে বুধবার দেশীয় শেয়ার বাজার ভালো শুরু করলেও সন্ধ্যা নাগাদ সব গতি উধাও হয়ে যায়। দিনের লেনদেন শেষ হওয়ার পরে, সেনসেক্স এবং নিফটি উভয়েই লোকসানের মধ্যে ছিল। ট্রেডিং শেষ হলে, সেনসেক্স ৬৮.৬২ পয়েন্ট (০.১২শতাংশ) কমে ৫৭২৩২.০৬ পয়েন্টে নেমে আসে। অপরদিকে NSE নিফটিও ২৮.৯৫ পয়েন্ট (০.১৭ শতাংশ) কমে ১৭০৬৩.২৫-এ ছিল। এভাবে টানা ষষ্ঠ দিন বাজার ক্রমাগত পতনের সাথে বন্ধ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কটের চাপ বিশ্ববাজারে থেকে গেছে। সামগ্রিক ভাবে বর্তমান ঘটনার দ্রুত পরিবর্তনের কারণে বিনিয়োগকারীরাও উদ্বিগ্ন। রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে বলে ক্রমাগত আশঙ্কা করা হচ্ছিল। অবশেষে, আজ পুতিনের ঘোষণায় সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটেছে। এখন নতুন করে আশঙ্কা জন্মাচ্ছে যে, পূর্ব ইউরোপের এই যুদ্ধ আবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপ না নিয়ে নেয়।
এদিকে, এই যুদ্ধের প্রভাবে ভারতের পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের বাজারেও গুরুতর প্রভাব পড়েছে। বুধবার ইউক্রেন জরুরি অবস্থার ঘোষণা করার পরেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে। বুধবার, ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ ১.৩৮ শতাংশ, S&P ৫০০ ১.৮৪ শতাংশ এবং Nasdaq Composite ২.৫৭ শতাংশ কমেছে।
পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার এশিয়ার প্রায় সব বাজারই ক্ষতির মুখে রয়েছে। এদিকে, চিনের সাংহাই কম্পোজিট প্রায় স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও জাপানের নিক্কেই বা দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি, সবক্ষেত্রেই বড় বড় পতন লক্ষ করা গেছে।