বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজব কাণ্ড পাকিস্তানে (Pakistan)। ইসলামাবাদের (Islamabad) কমস্যাটস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে অদ্ভুত এক প্রশ্নে শোরগোল শুরু হয়েছে সে দেশে। জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লেকচারা প্রশ্ন করেছেন ‘ভাই বোনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক উচিৎ না কি উচিৎ নয়?’। এই বিষয়ের উপর প্রবন্ধ লিখতে বলা হয়েছে ওই প্রশ্ন পত্রে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল ওই প্রশ্নপত্র। যা নিয়ে রীতিমতো হাঙ্গামা শুরু হয়েছে সে দেশে। নেট মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ওই লেকচারারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান অনেকেই। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের ওই বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত লেকচারারকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে।
প্রশ্নপত্র ভাইরলি হওয়ার পরই মারাত্মক ঝামেলা শুরু হয় গোটা দেশেই। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই বিশ্ববিদ্যালয় অভিযুক্ত লেকচারারকে সাসপেন্ড করে। জানা যাচ্ছে, শিক্ষা দফতরের কাছে তারা লিখিত ভাবে জানায়, ইংরেজি রচনাশৈলী পরীক্ষায় ওই বিতর্কিত প্রশ্ন করা হয়েছিল। এই মুহুর্তে ওই শিক্ষককে নির্বাসন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
پاکستان کی اعلیٰ یونیورسٹیاں پاکستان کے نوجوانوں اور ہماری ثقافت اور مذہبی اقدار کو تباہ کرنے کے مشن پر رواں دواں!
LUMS میں گنگا جمنی تہذیب کو فروغ اور COMSATS میں بھائی اور بہن کے درمیان جنسی تعلقات کی تعلیمات!#امپورٹڈ_حکومت کا #امپورٹڈ_پاکستان pic.twitter.com/KYlywzhDl5
— Shehryar Bukhari (@ShehryarReal) February 19, 2023
২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি চিঠিতে জানানো হয়, ‘বিতর্কিত প্রশ্নপত্রের ঘটনার জন্য ৫ জানুয়ারি ২০২৩-এ ওই লেকচারারকে নির্বাসন দেওয়া হয়।’ এমনকি তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করার কথাও ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ।
পাকিস্তানের শিক্ষা দফতর জানায়, ‘১৯ জানুয়ারি ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি পাঠানো হয়। জানতে চাওয়া হয় কিভাবে এই বিতর্কিত প্রশ্ন ছাপা হল? এটা সম্পূর্ণ ভাবে পাকিস্তানের শিক্ষা সংস্কৃতির পরিপন্থী। পাকিস্তানের পারিবারের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে এই প্রশ্ন।’ প্রসঙ্গত, এই বিতর্কিত বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয় শিক্ষা দফতর। তারপরই শাস্তি দেওয়া হয় ওই লেকচারাকে।