বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্ধমানের (Burdwan) বিখ্যাত বর্তমান মিউনিসিপাল হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের নেই টাকা। অর্থাভাবে ছাপানো যাচ্ছে না পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। তাই বোর্ডে লিখে নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বর্ধমান মিউনিসিপাল হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা।
এমন অবস্থায় সবার প্রশ্ন তাহলে কি বর্ধমানের প্রাচীন এই স্কুল দেউলিয়া হয়ে গেছে? মঙ্গলবার এমনই ছবি ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার এই স্কুলে প্রাথমিক বিভাগের দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র লিখে দেওয়া হচ্ছে স্কুলের শ্রেণি কক্ষের বোর্ডে। বোর্ডে লেখা প্রশ্নপত্র দেখে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়ারা উত্তর লিখছে।
শিশুদের পক্ষে কি বোর্ড এ লেখা প্রশ্নপত্র দেখে সঠিক উত্তর লেখা আদৌ সম্ভব? এমনটাই প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকেরা। স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, এর আগে প্রথম ইউনিট টেস্টে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে দ্বিতীয় ইউনিট টেস্টে প্রশ্নপত্র ছাড়াই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
প্রশ্ন লিখে দেওয়া হচ্ছে ক্লাসের ব্ল্যাকবোর্ডে। বোর্ডে লেখা প্রশ্ন দেখে উত্তর লিখতে অসুবিধা হচ্ছে পড়ুয়াদের। এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে স্কুলে উপস্থিত হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলতে চায়নি। গেটে পাহারাদার বসিয়ে স্কুলের ভেতরে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় সংবাদ মাধ্যমের উপর।
তবে, বর্ধমান শহরের এমন নামজাদা স্কুলের বেহাল দশা সামনে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এই ঘটনায় রীতিমতো চিন্তিত অভিভাবকরা। শতাব্দী প্রাচীন স্কুলের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কী হবে? এমনটাই প্রশ্ন অসংখ্য অভিভাবকের।