বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের একটি পরীক্ষায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’ সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন আসায় তা নিয়ে বিরোধিতায় সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার কার্যত একই রূপ দেখা গেলো রাজ্যের ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষাতেও। রাজ্যের সবচেয়ে বড় চাকরির পরীক্ষা ডব্লিউবিসিএস। আর সেই পরীক্ষাতেই প্রশ্ন এলো প্রায় রাজনৈতিক দলের প্রচারের ঢঙে। যা নিয়ে এই মুহূর্তে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
অনেকেই জানেন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা গুলিতে সাধারণত তিন থেকে চার ধরনের সেট ব্যবহার করা হয়।তার মধ্যেই একটি ছিল ‘ডি’ সেট, এই সেটের প্রশ্নপত্রেই রয়েছে বিতর্কিত প্রশ্নগুলি। যে চারটি প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তার ক্রমিক সংখ্যা হল ৪৩, ৮৪, ৯৫ ও ১১৮। রবিবার সম্পন্ন হওয়া এই পরীক্ষার ৪৩ নম্বর প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে “পচিমবঙ্গ সরকারের সবুজসাথী প্রকল্পে সরকারি/সরকার পোষিত/ মাদ্রাসা/ বিদ্যালয়ের কোন শ্রেণিতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল বিতরণ করা হয়?”
শুধু তাই নয়, উল্লেখ রয়েছে সরকারি ‘গতিধারা’ এবং ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্পেরও। কার্যত স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে ভোটের সময় যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্র এবং রাজ্যের অংশ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। ৮৪ নম্বর প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, “গতিধারা প্রকল্পে একজন উপভোক্তা সর্বচ্চো কতটাকা সরকারি ভর্তুকি পেতে পারেন?” এবং ১১৮ নম্বর প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্পের বিমা প্রিমিয়ামে কত শতাংশ রাজ্য সরকার বহন করে?”যা দেখে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন এটা তো কার্যত রাজনৈতিক দলের প্রচার।
রাজ্যের সবচেয়ে বড় চাকরির পরীক্ষায় ধরনের সহজ প্রচারমূলক প্রশ্ন, আদৌ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও তর্ক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তর্ক শুরু হয়েছে ৯৫ নম্বর প্রশ্ন নিয়েও। এখানে জানতে চাওয়া হয়েছে “কোন বিপ্লবী নেতা জেল থেকে মার্সি পিটিশন করেন?” অপশন রয়েছে ভি ডি সাভারকারের নাম। এই প্রশ্ন নিয়ে অবশ্য দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কেউ বলছেন, এটি ইতিহাসের স্বাভাবিক প্রশ্ন। কেউ কেউ আবার বলছেন, মুচলেকা তো অনেকেই দিয়েছেন সে সময়। তাদেরও কারও নাম থাকতে পারতো। সবমিলিয়ে অনেকেই বলতে চাইছেন এই প্রশ্ন আসলে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে তৈরি।
ডব্লিউবিসিএসের প্রশ্ন ‘গতিধারা’, ‘স্বাস্থ্য সাথী’, ‘সবুজ সাথী’ সমালোচনা বিদ্ধ শাসক দল