বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৩ মার্চ থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা। যা শেষ হবে আগামী ১৮ই মার্চ। এবছরই শেষবারের মতো প্রথাগত পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন রাজ্যের পরীক্ষার্থীরা। আগামী বছর থেকে উচ্চমাধ্যমিকে চালু হবে সেমিস্টার পদ্ধতি। জানা যাচ্ছে,অনেকদিন আগেই উচ্চ-মাধ্যমিকে তৃতীয় সেমিস্টারের পাঠ্য বই রিভিউ করতে, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে দিয়ে দিয়েছেন প্রকাশকরা।
উচ্চ-মাধ্যমিকের ( Higher Secondary) তৃতীয় সিমেস্টারের বই কবে পাবেন পড়ুয়ারা?
উচ্চ-মাধ্যমিকের Higher Secondary) তৃতীয় সেমিস্টারের পাঠ্যবই রিভিউ নিয়ে এবার উঠে এল এক গুরুতর অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় সিমেস্টারের অধিকাংশ বই এখনও পর্যন্ত পড়ে আছে উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে। কারণ ওই বইয়ের রিভিউ যারা করবে তাদের অনেককেই ব্যস্ত রয়েছেন উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার নজরদারির কাজে।
জানা যাচ্ছে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ওই বই রিভিউ এর কাজ শুরু হবে। তবে তৃতীয় সেমিস্টারের বই পড়ুয়ারা সময় মত পাবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বিগ্ন পড়ুয়ারা। এ প্রসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন পড়ুয়াদের। তিনি বলেছেন দুশ্চিন্তার কারণ নেই। সময়মতো তৃতীয় সেমিস্টারের পাঠ্য বই বাজারে চলে আসবে। জানা যাচ্ছে আছে বেশ কিছু বইয়ের টেক্সটবুক নম্বরও ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।
আগামী বছর সিমেস্টার পদ্ধতিতে উচ্চ-মাধ্যমিকের (Higher Secondary) পড়াশোনা শুরু হচ্ছে। তাই পাঠ্যক্রমেও আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী তৃতীয় সিমেস্টারে জোর দেওয়া হবে এমসিকিউ-এর উপরে। তাই এর জন্য প্রয়োজন নতুন পাঠ্যবই। অভিযোগ,এখনও পর্যন্ত ওই বই বাজারে এসেছে ঠিকই তবে তা হাতে গোনা।
তৃতীয় সিমেস্টারের বই প্রকাশকদের একাংশের দাবি, তাঁরা বই জমা দিয়েছেন জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) শুরুর আগে তো অনেক সময় ছিল। এপ্রসঙ্গে সংসদের যুক্তি, কোনও পাঠ্যবই যখন কোনও বেসরকারি প্রকাশকের থেকে নেওয়া হয়, তখন তা একাধিক বার রিভিউ করার দরকার হয়। একজন প্রকাশক প্রথমে কোনও পাঠ্যবই জমা দেওয়ার পরে সেই বই যায় এক জন রিভিউয়ারের কাছে। নিয়ম অনুযায়ী ওই বই পড়ে কোনও সংশোধন করার থাকলে তার উল্লেখ করেন তিনি।
বই সংশোধন করার পর সেই বই প্রকাশক আবার সংসদে জমা দেন। এরপর ওই বই আবার রিভিউয়ারের কাছে দিতে হয়। প্রয়োজন হলে আবার ওই বই প্রকাশককে আবার সংশোধন করার কথা বলা হয়। সংশোধন হয়ে গেলে প্রকাশককে বই সংসদে জমা দিতে হয়। রিভিউয়ার কমিটি সেই বই দেখে সন্তুষ্ট হলে টেক্সট বুক নম্বর (টিবি নম্বর) দিয়ে বইটিকে প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
শিক্ষা সংসদের এক কর্তার কথায় ধরা পড়ল আফসোসের সুর। তিনি জানিয়েছেন, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। নিয়োগ নেই অথচ প্রচুর শিক্ষক অবসর নিচ্ছেন। এ দিকে উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary)স্তরে পরীক্ষা নেওয়া, পাঠ্যক্রম তৈরি— প্রতি স্তরেই কাজ বাড়ছে। এখনএত কাজ একসঙ্গে করার শিক্ষক নেই। একইসাথে তিনি জানিয়েছেন যাঁরা এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নজরদারির কাজ করছেন, তাঁদের ওই ডিউটি থেকে সরিয়ে বইয়ের রিভিউ করানো সম্ভব নয়।