এ কী কান্ড! ভাঙা হচ্ছে RG kar’র সেমিনার হল সংলগ্ন অংশই! তবে কি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চিকিৎসকদের জন্য নেই সঠিক বিশ্রামের ঘর বা রেস্ট রুম। আর জি কর (RG Kar Case) কাণ্ডের পর এই অভিযোগ উঠতেই কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হল রেস্ট রুম তৈরির। এবার নতুন করে তুমুল বিতর্ক দেখা দিল এই রেস্ট রুম তৈরি নিয়ে।

আর জি কর হাসপাতালের (R G Kar Medical College and Hospital) অবস্থা

আর জি কর হাসপাতালের (R G Kar Medical College and Hospital) সেমিনার হলের ২০০ মিটারের মধ্যে থাকা ঘর ভেঙে পুরসভার পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজ। আর ঘর ভাঙা শুরু হতেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। মৃত নির্যাতিতা চিকিৎসক তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয় এই সেমিনার হল থেকেই।

আরোও পড়ুন : জাস্ট মনে রাখুন ৬x১২x১৫ ফর্মুলা! তাহলেই কেল্লাফতে! মাত্র কদিনেই মিলবে ৩০ লাখ রিটার্ন

কেন সিবিআই (Central Bureau of Investigation) তদন্ত শুরুর আগেই তড়িঘড়ি সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এর পিছনে কি তবে রয়েছে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? ‘তিলোত্তমা’ ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে একাধিকবার এর আগে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

আরোও পড়ুন : টাটার এই মাল্টিব্যাগার শেয়ার বিনিয়োগকারীদের করল মালামাল! আরও বাড়বে দাম, সামনে এল তথ্য

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) থেকে শুরু করে পুলিশ কমিশনার, সবাই যদিও বলেছিলেন যে দ্রুততার সাথে তদন্ত হচ্ছে। তারপর মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং পুলিশকে এই ঘটনার তদন্তের দিনক্ষণ বেঁধে দেন। যদিও আজ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এই ঘটনার তদন্তভার তুলে দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে।

তবে সিবিআই এই তদন্তের কাজ শুরু করার আগেই রেস্ট রুম তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। জাতীয় মহিলা কমিশনের আধিকারিকরা আজ দুপুরে আর জি কর হাসপাতালে (R G kar Medical College and Hospital) এসে এই ঘটনা দেখে তাজ্জব হয়ে যান। তারপর তারা ডেকে আনেন কর্তব্যরত এসিপি-কে। তখনই দেওয়া হয়  ‘স্টপ ওয়ার্ক’ এর আদেশ।

1723553646 bathroom

মহিলা কমিশন ধারণা করছে এইভাবে ভাঙাভাঙির ফলে নষ্ট হতে পারে তথ্য-প্রমাণ। আর জি কর হাসপাতালে (R G kar Medical College and Hospital) আন্দোলনরত এক পড়ুয়ার কথায়, “আমরা প্রথম থেকে দেখছি কলকাতা পুলিশ তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সাতদিন প্রমাণ চাইছেন। তার মধ্যে তো তথ্য প্রমাণ লোপাট হতেই পারে।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর