বাংলা হান্ট ডেস্ক : একদিকে বাংলার আকাশে বাতাসে বাজছে দুর্গোৎসবের সুর, আর উল্টোদিকে পাড়ার মোড়ে কলকাতার রাজপথে ভেসে আসছে প্রতিবাদের সুর (R G Kar Protest)। দেখতে দেখতে আজ আরজি কর কাণ্ডের (R G Kar Protest) রেশ ছড়িয়েছে ২ মাস হতে চললো। কিন্তু এখনো পযর্ন্ত কাদম্বিনী সুবিচার পেলো না। তবে বিচার ছিনিয়ে আনতে রাজপথ দখল করেছে নাগরিকরা। আর এই আবহেই দেখা গেলো অভিনব প্রতিবাদের (R G Kar Protest) ভাষা।
এবার বিয়ের কার্ডে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের (R G Kar Protest) ভাষা
না রাস্তায় কিংবা প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ নয়। প্রতিবাদ করতে দেখা গেলো বিয়ের কার্ডে। এভাবেও যে প্রতিবাদ করা যায়, একথা জানা ছিল না। সম্প্রতি এক হবু দম্পতি তাদের বিয়ের কার্ডের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করেন। কার্ডে উপরে লেখা রয়েছে বর বউয়ের নাম। আর তার ঠিক নিচে সোনালী হরফে লেখা, “দুটি প্রাণের একটি স্বর, বিচার চায় আরজি কর”। ঠিক এই কথাই উল্লেখ করা কার্ডের উপর।
যেখানে সকলে বিয়ের কার্ডে নিজের ছবি লাগানো থেকে শুরু করে নিত্যনতুন ডিজাইন করতে থাকে। সেখানে এই পাত্র পাত্রী সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে তাদের এই ছবি পোস্ট হওয়ার পর তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করে। জানা গিয়েছে, পাত্রর নাম শুভঙ্কর, ঘাটালের বাসিন্দা। আর পাত্রী শ্রাবন্তিকা অধিকারী, হাওড়া নিবাসী তিনি। ২০২৫ সালেই দুজনে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছে।
আর তার আগেই তাদের এমন কাজ মানুষের মন ছুঁয়েছে।এই বিষয়টি নিয়ে শুভঙ্কর জনপ্রিয় গণমাধ্যমে জানান, “শাসক উত্সবের মধ্যে দিয়ে এই ঘটনাকে ভুলিয়ে দিতে চাইছে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি সবকিছুর মধ্যে দিয়ে মনে করিয়ে দিতে যে তিলোত্তমার খুনের বিচার এখনও পাইনি।”
আরও পড়ুন : ‘গণপ্রহারের কায়দায় মারধর করা হয় নির্যাতিতাকে, জড়িত..,’ আর জি কর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এখানেই শেষ নয় তিনি আরো বলেন , বিয়ে মানে যেহেতু দুটি মানুষের মিল। তাই তাদের বিয়ের কার্ডের মধ্যে ট্যাগলাইনও এমন ভাবে দেওয়া হয়েছে যেখানে দুজনের উল্লেখ করা রয়েছে।” শুভঙ্কর আরো বলেছেন তাদের প্রতিবাদ শুধু বিয়ের কার্ডেই থেমে থাকবে না। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে মন্ডপ সবেতেই প্রতিবাদ জানানো হবে।
যদিও এর আগে সমাজ মাধ্যমে দেখা যায়, প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছিল এক চিকিৎসক। আবার জন্মদিন বাড়িতে মেনু কার্ডেও প্রতিবাদের ভাষা উল্লেখ করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ এমন অভিনবত্ব প্রতিবাদ আজকের নয় বহু আগে থেকেই জনগণের মধ্যে দেখা গিয়েছে।